কন্যার পিতা গাঁয়েতে সাধারণ শিক্ষক
তিনি, আচারে-ব্যবহারে শুভচিন্তক ,
একটি মাত্র তনয়া পৈত্রিক আলয়ে -
তাঁর ঘর-সংসার চলে সামান্য আয়ে ৷
পুত্রীর লেখা পডায় ভাল মাথা
বিনা কাজে সময় কাটায় না বৃথা ,
দেখিতে সুশ্রী, সরল, লাবণ্য-
সদা গুরু জনে করে সমিহ-মান্য ৷


এবার সদ্য গেছে সে কলেজে
সেথায় ব্যস্ত থাকে পড়া আর কাজে ,
এক জমিদারপুত্র, দর্শনে তার মন ভায় ;
ঐ মেয়েকে গৃহে চায়, যে কোন উপায় !
বন্ধুসহ- ফুলগুচ্ছ, মিষ্টি, হাঁড়ি-হাঁড়ি-
সাথে, উপহারের দামি-দামি শাড়ি ,
চলে কন্যার আলয় সাঁঝের বেলা ;
কন্যা ঘরেই ছিল সম্পূর্ণ একলা ৷
সুযোগে ছেলে কন্যাকে দেয় প্রস্তাব
আমি কী নই বর ? তব গ্রহন যোগ্য ,
এ তোমার হবে পরম সৌভাগ্য !
স্বপন নয় ? দেখ দুয়ারে উদিত বাস্তব !


কন্যাটি সবিনয়ে বলে, আমি একা ,
হঠাৎ করে না বলে, করলে দেখা !
আপ্যায়নে করিবনা নিরাশ-
ধন্য হোক তব বংশ, নামযশ !
চাই, একটা প্রশ্নের সদউত্তর ,
পরিচয় রাখ জ্ঞানী সুপাত্রর  ৷


সকাল সাঁঝে নেয় কাজে, গৃহস্থরা ;
কী সে বস্তু ? বলো, সবে তোমরা ৷
বন্ধুরা, একে অপরের মুখে চায় –
জ্ঞানে আসে না ! শূন্যে হাতায় ,
ঘর্ম সিক্ত বদনে বলে, অপারক !
এ যে অজানা, কঠিন মারাত্মক !


মেয়েটি হাসিয়া বলে, উত্তর সে’টা-
মাত্র দুটি আকার ও অক্ষর, ঝাঁটা !!


(ইং-০৯-০৬-২০১৭)