জীবনের প্রতি ধাপের প্রগতির মূলে
সেখানে পুঁজির অহম ভূমিকা চলে ,
বিশ্বে পাই দুই বর্গ, দুই তার রূপ
একধারা, পুঁজির দ্বারা উত্থানে, বিনিয়োগ খুব ,
অপর ধারা ,ব্যস্ত অর্থ অর্জনে , ধনাঢ্য রূপ ,
পুঁজির সপ্তঘোড়ার রথে চড়ে রাতদিন হাঁকা
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেখি না তার মহতী ভূমিকা ।
পুঁজি যে মহাছল মায়া
পুঁজিতন্ত্রে লোভী ,স্বার্থী , রাজনৈতিক বর্গ চরিত্র ,
তাঁরাই পুঁজির মোহে মানব সমাজ করে অপবিত্র ।


সাধারণতঃ অবোঝা ছল-চাতুরির পরিস্থিতি
দেখতে হয় পুঁজির রুখ কোন্ দিকে গতি
হোক না সে ভয়ঙ্কর ভস্মাসুর বা মত্তহাতি !
ভোটে, লাগামকষে, রুখতে পারে তার ক্ষতি ।


ত্যাগী ,সমাজ সেবী , জননেতা যে নাই !
কেন ? আমরা স্বীকার করতে ভয় পাই  ,
মানতে চায় না এ হৃদয়
যুগে-যুগে তাঁরা ভরসার দেবতা
এখনো কত নেতার আছে সততা ,
অশেষ কষ্ট-বেদনা সহ্যে- ত্যাগ ও বলিদানে  
প্রস্তুত আদর্শ জনসমাজ গঠনে,- মনে-প্রাণে
তাঁরা জনমাঝে বার বার হয়েছেন উদয় ।


(২৯-০৪-২০২৩)--- সমাপ্ত ।
“পুঁজি” কাব্য পাঠ করায় সমস্ত সুধী পাঠককুলকে শ্রদ্ধা জানাই ,কাব্য সমাপ্ত করা হ’ল । উপসংহারে বলা , এই “পুঁজি” মানবের সৃষ্টি, আবার মানব তার দ্বারাই ধ্বংস হয় ! এখানে তার সমাধানে- আদর্শ ব্যবস্থাপক চাই । যতদিন না মানুষ তেমন ত্যাগী শাসকবর্গ সৃষ্টি না করতে পারবে , ততদিন দুঃখ থাকবে ।