(৪৩)
তুমিই প্রথমে উঠালে একমুঠ বাংলার মাটি তোমার মেহেদী রাঙা হাতে
বাংলার এই অপরূপ আদিকথা মুঞ্জরে জলে স্থলে খাঁজে-ভাঁজে পরতে পরতে।
চুমি অর্ক অনন্ত নীলে ফাগুন তুলে রঙতুলি, আজও উর্বর এই সোঁদা মাটি
আবীর মিশে নেমে আসে দিব্য বসন্ত ধরায় কী জাদুভরা তোমার এই হাতে!


(৪৪)
আকাশের তারাও খসে পড়তে চায় শুধু একমুঠ বাংলার মাটিতে  
এই মাটিভরে পড়িলে শশী পড়িবে যে জগৎমাতা তোমারি হাতে।  
তাইতো স্বপ্নবাজ রবি আকাশের সব রঙ ঝরে এইখানে এই ফাল্গুনী তটে
যদি দেখা পেয়ে যায় এ মাটির গড়া একটি তসবি দানা তোমার আব্রু হাতে!


(৪৫)
ভরা বেলা যখন মেতে উঠে আকাশ চূড়ায় রূপের প্রদীপ জ্বালি
ছাড়ি গগন অদূরে বটমূলে কৃষ্ণছায়া তলেই তো দেও কুহক ঢালি।
তারাময় গগনপুরে কুলহারা বিলীন প্রয়াত বেলা তব পরশই যে কূল
তোমার ছায়াঘেরা উদয়োন্মুখে ঊষার রবি আবার আসিবে জ্বলি।