(৪৬)
তুমি জননীর জননী মায়ের হৃদ স্পন্দন শূনার আগেই কথা বলিলে
শান্তিসুধা 'সালাম' বলে এলে, সারা জমিন জড়ো হলো তোমার পদতলে।
উথলিয়া এলো সিন্ধু এলো চন্দ্রমা ভেসে জোছনায় কেউ ছুঁইলোনা কাহারে
নিলে হৃদয় মাল্যবরণে দূরদর্শী দেখে কহিলেন জান্নাত তো মায়ের কদমতলে!    


(৪৭)
কভু শুনি তোমার মধুর কলহাস্য জাগিবে কোন আত্মাভোলা
পদাঙ্গুলি তার মাটিভর হলেও তারি গলে ঝোলাবে তারার মালা।
দিন তো চলে গেলো একে একে উধাও হলো সব কেশের কালো
তিমির আঁধার টুটে মেলোনা আঁখি অরুণা ছড়াও প্রথম আলোর মেলা!


(৪৮)
তখন আর বেলা যায় যাক ডুবে আলতো আলোয় ভাসবে তোমার সাজঘর
আঁধারিও তোমার সামনে আয়না ধরে ফুটে তারা পূর্ণিমা রবিগন্ডে তিলের উপর।
সাঁঝের আকাশে তলিয়ে যাওয়া কমলারঙা মেঘগুলো জমে থাকে শুনি
অনাবিল অনুরনণ নিশিভর তুমি যে সৃজনলীলা সুন্দর সৃষ্টির চমক সেরা সুন্দর!