আবলিভিয়ান


আষাঢ়ের সন্ধ্যায়, বর্ষার আগমনে,
এক নিরালা ভাঙা কাঠের সেতু,
পারাপারের সময়,
তোমার হাতে হাত রেখে,
তোমার বিস্ময় ভরা আঁখির দিকে চেয়ে আছি।


কালোমেঘে ঘেরা আকাশ হয়তে,
হঠাৎ করে আসা না বলা বৃষ্টি,
হিমেল হাওয়ায়,
ভিজিয়ে দিল দুটি শরীর।


তোমার সেই পুরানো ভাঙা ছাতার নীচে ,
শীতল বাতাসে, বৃষ্টির টাপুর টুপুর শব্দে,
ভূমি থেকে ওঠে আসা মাটির মেটো গন্ধে,
হারিয়ে যায় দুজনে কোন অদূরে।


বিদ্যুৎ চমকায়, বাদল গর্জায়,
দমকা হাওয়া শুরু হয়,
অঝোর ধারায় বৃষ্টি, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ,
প্রায় ভিজে যায় দুজনে,
তখনো তোমার সেই পুরানো ভাঙা ছাতার নীচে।


বিদ্যুতের ঝলকানিতে, ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরে,
শান্ত বধূর মতো , একদৃষ্টে চেয়ে,
তোমার ভয়মিশ্রিত কন্ঠে, কিছু বলার আগেই
তোমার ঠোঁটের নরম স্পর্শ ছুঁয়ে যায় ,
জীবনের প্রথম চুম্বন।


তোমার সেই লজ্জা মিশ্রিত অস্পষ্ট হাসিমাখা মুখখানা,
প্রতিরাতে আমার স্বপ্নে হাতছানি দেয়,
কে তুমি? কেন বার বার স্বপ্নে দেখা দাও?
তোমার জন্যে যেন আমি অপেক্ষায় আছি।