দুঃখের রাত গুলো ভীষণ ভাবে শরীর চায়।
আমি তোমার সেই প্রেমিক, যে তোমার শরীর ও ভালোবাসে, আবার তোমার হৃৎপিণ্ড ও ভালোবাসে।
ভালোবাসা সময়ে সময়ে দুভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে শরীরে আর হৃৎপিণ্ডে।
তুমি বলবে, হৃৎপিণ্ড তো শরীরের বাইরে নয়।
সে ও ঠিক।
তবে হৃৎপিণ্ড আর শরীরের ভাষা ভীষণ ভীষণ আলাদা।
সেই ভাষা দিয়ে দুজন আলাদা হয়।
মায়ের সাথে সন্তান ও থাকে কীভাবে বলো দেখি,
শরীরের সাথে মিশে! এক রক্ত,
এক প্রাণ থেকে আলাদা হলে তবেই না নূতন জন্ম।
আমি তোমায় মায়ের মতোই ভালোবাসি।
শরীরের মধ্যে রেখে, ঠিক তোমার মতো করে।
শারীরিক যৌন সম্পর্ক বাদ দিলে,
তোমাতে আমাতে সম্পর্ক, মায়ের মতোই।
আমি তোমায় সেইভাবে ই ভালোবাসতে চাই বারবার।
মায়ের মতো করে,
শীতের দুপুরে চুলে বিনুনি বেঁধে দিতে শিখি।
তারপর দুষ্টুমি করে ঘাড়ে ঠোঁট ডুবিয়ে দিতেও ভালোবাসি।
গরমের রাতে পাখার বাতাসে শান্ত করে আবার ঘামে ভিজিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
আরো কতো কি যে ইচ্ছে করে!
আমি অসভ্য প্রেমিক তোমার।
তোমার কাছেই সভ্যতার গল্প জমা রেখে অসভ্য হতে চাই।
এ আমার অহংকার,
সারা পৃথিবীর কাছে জিতে,
দিনশেষে তোমার কাছেই হারতে চাই।
শুধু তোমার চোখেই হারাতে চাই।।