'আচ্ছা তুমি
কেমন মানুষ
এখন কোথায়
করছো টা কি,
"আসছি" বলে
উধাও হলে
আসছো না ক্যান্
ব্যাপারটা কি !"
সপ্তমীতে
রাগ চড়িয়ে
গিন্নি আমার
ফুঁসছে নাকি,
রাগের কারণ
অনুমেয়
দেরীর কারণ
বলতে বাকি।
ঘন্টাদুয়েক
হয়তো হবে
সূর্য্য তখন
শেষ বেলাতে,
"আসছি" বলে
"উধাও" হলাম
গলির মোড়ের
দোকানটাতে।
বাজার করে
ফিরতি পথে
কমবয়সী
তিনটি ছেলে,
অন্ধকারে
একলা পেয়ে
ছোরা-চাকু
ধরলো মেলে।
মানিব্যাগ আর
ফোনের সাথে
আংটি, ঘড়ি
চশমা গেলো,
হকচকিয়ে
দেখছি তাদের
লাগছে কেমন
এলোমেলো।
কাল হয়েছে
সেই দেখাটাই
বুঝতে পারি
একটু পরে,
খিস্তি ঝেড়ে
আস্ত ছোরা
গাঁথলো যখন
হঠাৎ করে।
দাঁড়ায়নি আর
যুবকগুলো
লম্বা দিলো
অস্ত্র ফেলেই,
আমার পেটে
আস্ত ছোরা
ঢুকে গেছে
হেসে খেলেই।
যাচ্ছি মরে
কিন্তু দেখো
হয়নি কোন
অসুখ-বিসুখ,
ঘোলা ঘোলা
দেখতে পেলাম
কৌতুহলী
কয়েকটা মুখ।
আরেকটু পর
হুঁশ হারালাম
জীবন তোমায়
বিদায় দিলাম,
হাসপাতালের
বিছানাতে
আরেক দফা
জন্ম নিলাম।
ধীরে ধীরে
বুঝতে পারি
এ যাত্রাতে
বেঁচে গেলাম,
মরণটাকে
মরণশীলের
বাকির খাতায়
রেখে এলাম।
জীবন নিয়ে
আমার ভেতর
নানান রকম
আবেগ জাগে,
সবার মাঝে
বেঁচে আছি
ভাবতে বড়ো
ভালো লাগে।
টেলিফোনে
গিন্নি আমার
মনের ভেতর
রঙিন ফানুস,
গিন্নি আমার
সপ্তমীতে-
"আচ্ছা তুমি
কেমন মানুষ..."