তোমার হাত ধরে উঠে যেতে পারি এভারেস্টের চূড়ায়
প্রাচীর বেয়ে উঠতে পারি, যতোই বড় হউক না পাহাড়।
সূর্য জ্বলে উঠার আগেই ভোরের পায়ে পরিয়ে দিতে পারি ঘুঙুর
তোমার সাথ পেলে আঁধার রাতের আকাশে নক্ষত্রের হবে সমাগম ।
মরু সাহারার বুকে সবুজে সাজিয়ে দিতে পারি গহীন অরণ্য,
তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে, হয়ে যাব যুবক তারুণ্য।
“তোমার হরিণী ঐ চোখে চোখ রেখে, ঝরাতে পারি অঝোর বারি বর্ষণ”
কুশিয়ারাতে হবে জ্যোৎস্না উৎসব যদি দাও সাথ
অমাবস্যায় করে দেব জোনাক জ্বলা মুগ্ধকর রাত।
আমাজন পাড়ি দেব তোমার হাতে রেখে হাত।
যদি চল সাথে দু’কদম, আমি বাড়াতে পারি চার কদম
তোমার চোখে স্বপ্ন দেখে সাজাতে পারে জীবন, এই অধম।
তুমি থাকলে সাথে, থামিয়ে দেব মরুর বুকের লু-হাওয়া
নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায় একাকী আমার যেন মরে যাওয়া।
তোমার সঙ্গ পেলে হয়ে যেতে পারি সম্রাট “নেবুচাদনেজার”
আবার সাজিয়ে তোলতে পারি ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান।
তোমার জন্য করতে পারি বিদ্রোহ, কিংবা “কিস্তুফের” ভাগ্য বরণ,
দেব না তোমায় হতে “মাথিন” শূন্যতায় কেঁদে করবে স্মরণ।
ভালবেসে রাখ যদি অন্তর জুড়ে “দশরথ মাঝি” হয়ে যাব এক নিমিষে
তুমি থাকলে পাশে, পাহাড় কেটে রাস্তা করতে পারি অনায়াসে।
মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়তে পারি, মঙ্গলে কিনতে পারি বাড়ি,
রাঙ্গা বধূ সাজাতে অপেক্ষায় আছি, পরাতে লাল বেনারশী শাড়ি।
আরবের বুকে সবুজে সাজিয়ে দেব শ্যামলিমা, রবে না মরুদ্যান
বৃষ্টির জলে মুখরিত হয়ে যাবে, জন্মাবে নতুন করে শস্য গম ধান।
কৃষাণ হয়ে যাব ক্ষেতে কর্মময় রব মিশে, যদি হও কৃষাণী আমার,
শিল্পপতি হতে পারি, অট্টালিকা গড়তে জানি, সম্পদের গড়ে পাহাড়।
শুধু তুমি থাকলে পাশে সাজাতে পারবো শান্তিময় বিশ্ব সংসার,
তুমি ছাড়া সবই শূন্য হাহাকারে, পূর্ণ পৃথিবী জুড়ে শুধুই আঁধার।