দৃশ্য একঃ
----------------
অামি অতৃপ্ত-অাঁধার পথের এক নিঃসঙ্গ যাত্রী,
হেঁটে যাচ্ছিলাম হেলেদুলে..
কখন নিজেই নগ্ন হয়ে গেলাম; জানি নে...


তারপর...


জীবনের এক্কা-দুক্কা খেলতে-খেলতে
নগ্নতাকে বানিয়ে দিলাম পোষাকের খেলাঘর;


হঠাৎ হৃদয়ের কারাগার হতে
প্রান্তিক সময়ের লাঠি ধরে অামি বেয়ে উঠি
এক বিন্দু অালোর পীঠে...


দেখি,অামি বড্ড ঘর্মাক্ত!


অজান্তেই ঐ অালোকবিন্দু অামাকে,
সূর্যের মাহাত্ম্যে-----
এমনভাবে স্নান করিয়ে দিলো;
যেন তমসাচ্ছন্ন অাঁধারের মাঝেও
অামার গতর হতে বিশ্ব অালোকিত হয়ে
ছড়িয়ে গেলো উত্তরসূরির গতরে...


দৃশ্য দুইঃ
--------------
অামি প্রজন্মের ভাষায় গান গেয়ে যাই ঘাসে-ঘাসে
পিছুটানের মিলন মেলায় মনের টুকরো-স্মৃতি
কাঁপে লাজে;হাজার পথের অচেনাময় ক্লান্তি শুষে
বুকের কাছে বাঁচিয়ে তুলি অপেক্ষার-ই প্রীতি।।


দৃশ্য তিনঃ
----------------
ভাঙনের খেলায় যা কিছু ধন্য হলো দিনান্তে
চেপে ধরি তা,সেতারের তারে,
পশ্চিমের বারান্দায় সূর্যের শেষ রশ্মি ছুঁয়ে
গোপনে গোপনে, নিজেরে ছোঁয়াচে করে দেই প্রদীপের শিখায়।


দৃশ্য চারঃ
----------------
দূর থেকে অারো দূরে...
অাপন ছায়ার ওপারে


             তমসা তীরে একাকী দাঁড়িয়ে অাছেন বুঝি সাক্ষাত ঈশ্বর!
             অামায় চিনতে দাও!পার হব রে লক্ষ বেদনার গিরি-শিখর।


                               অাঁখি খুলে দেখবো তারেই সই
                               অাজ মনের ব্যথা সব খুলেই কই,


সুরে-সুরে ভাসে অামার অায়না ভুবন
প্রণাম দিব অগণিত জন্মের-ই চরণ!


দৃশ্য পাঁচঃ
--------------------
স্বপ্নাক্রান্ত,তুমি বালিকা,মৃত্যু কতদূর?
এতকাল বুনো সভ্যতায় রক্তাক্ত হয়েছি ভাঙা দেয়ালের সমাধিপারে...


এবার এসো,ঝরা পাতার স্মরণে
প্রেম দিব মৃত্যু খুলে,অাঁচলখানি পেতে দাও!


নয়তো নিজেই অচেনা ফুল হয়ে জন্মের মালা হব;
অাঘাতে না হয় কুড়িয়ে নিও অামারই প্রাণের সুতো!


নিশিক্রান্ত,তুমি বালিকা,অালো কতদূর?
নিঃশ্বাসের দ্বার খুলে,অাধখানা রুটিব্যথায়
দেউলিয়া চন্দ্রিমার অালোয় দাঁড়িয়ে অাছি সময়ের প্রতিভা পাশে...


এবার এসো,গলির ধারে
অকারণে রঙ পাল্টাচ্ছে অামারই ফুটপাত,
রেললাইনের বস্তি হতে---
অাকালের দেশে ক্ষুধার অাগুন দেব,বুক পেতে দাও!


নয়তো কান্নার চাদর মুড়িয়ে ক্লান্তিহীন নিঃসঙ্গতায়
মৃত ডায়রীর ভাঁজে না হয় জমিয়ে রেখো
অামার দাহকালে কুড়িয়ে পাওয়া জলকণা!


রৌদ্রাক্রান্ত,তুমি বালিকা,বৃষ্টি কতদূর?
জমছে মেঘ বিনুনীর ফাঁকে...
চোখে বৃষ্টি অভিমান।


এবার এসো,বর্ষায়,
প্রেম-বিদ্যুৎের ইচ্ছে পুষে অাবার ফুটাবো
মৃত্যুর পালঙ্কে--
জন্মে দেখা স্বপন বাসরের ফুল;হাত দু'খানি দাও!


নয়তো অাকাশ হয়ে সু-স্থির হব সুদূরপারে..
তুমি অঙ্কুরিত বীজের স্বপ্ন পুষে না হয়
পাখি হয়ে উড়ে যেও দেশ-দেশান্তর।


জানো কি?


মানুষ হলো কাঁচের ফ্রেমে বন্দী জলজ অায়না।
মাধবী-হাওয়া এসে ঝড়ের গান শুনালেই হৃদয়ের ভুলে পৃথিবী ভাসে শূন্যে...


(এটি অামার দৃষ্টিতে কোন কবিতা নয়;অামি কবিতা লিখতে পারিনি অাজো;এগুলো শুকনো ডায়রীর ভাঁজে অামার জমানো কিছু কথা,তবে হ্যাঁ,অামি অাপনাদের পাঠক,সবার প্রতি অামি কৃতজ্ঞ)