লাশ পোড়া আগুনে হাত রেখে প্রশ্ন করেছিলাম--
শেষ অনুভূতির দাম কত?
উত্তর মেলেনি----


ইতোমধ্যে বহুবার খোলস পাল্টায় বেঁচে থাকার এ পৃথিবী,
পাল্টায়নি কেবল ছায়াসঙ্গী;যার সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা...


টিকে থাকলেই চোখে নেমে আসে সাত-রঙা রংধনু,
হেরে গেলেই প্রতি নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে আগুন ঝরে
                      পুড়ে যায় অামার সাজানো বাসর ;
ছাইয়ের স্তূপের আড়ালে মাঝে মাঝে একটু-অাধটু
         উুঁকিঝুকি মারে কয়েকটি অক্ষর---
                  ভা-লো-বা-সা।


ঋতু বদলায় বারংবার,
           দূরত্বের ভারে ভেঙে পড়ে সময়ের মূর্তি।
দুঃখ বিলাসে সুখের পরিধি মাপতে গিয়ে,
              আঁধারের আঁচলে লুকায় মাটির শরীর।
দূর পাহাড়ের বুকফাটা কান্নার সাথে,
                      মিতালি পাতে আহত চোখ।


কিন্তু মহাজাগতিক পীঠের মর্মতলে
                                  ঝুলে থাকে রহস্য ঘন্টা;
যা প্রতিধ্বনিত হয়ে মুহূর্তেই ফিরে আসে চিন্তার আকাশে।
তখন সমাপ্তিহীন শূন্যতার দিকে ছুটে চলে মনুষ্য জীবন;
              কেবল বিবশ হয়ে পড়ে সন্ন্যাসী দৃষ্টি, ক্ষণে ক্ষণে...


তবু কেউ কেউ স্বপ্নকে ছুঁয়ে দিয়ে
                    উঠে দাঁড়াতে চায় একটু বাঁচার জন্য!


হে অামার ভোরের কিশোরী!
             শাদা-পাতায় কেনো চুমু খেলো বর্ষা-স্নাত ভোর?
সূচিপত্রে লেখা ছিল বৃষ্টি-ফোঁটার নাম।


ভেজা কলমের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে...
তামাটে অচল পয়সার বুকে আমি হলাম নিগূঢ় পর্যটক।


স্বাগত অভিশাপ!
লাল-কাঁকড়ার গুটিগুটি পায়ের ছন্দে ছন্দে
জিহ্বার বিমূর্ত আন্দোলন থেকে ওঠে আসে
প্রতিটি কথার উচ্চারণ!


কালের আয়নায় ভাসিয়ে তুলে প্রাণের বর্ণমালা ...
থুথু ফেলো না!মুখশ্রীর শোভা নষ্ট হয়ে যাবে ...


নিষিদ্ধ চুল্লীর নিভন্ত আগুনের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমুচ্ছে
ছিন্ন মগজের প্রতিভা,আড়ি পেতে আছে রহস্য-স্নায়ু ...


কাঁপছে ভারত-রত্ন,গর্ভের কোষে কোষে
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে শুধু আধখানা মৃত্যু,
রঙ তাঁর গাঢ় নীল ...


আবছা আবছা অন্ধকার;
এ যেন হিম সাপের মাথায় গোলাপের পাপড়ি-ভেজা ঘ্রাণ!
থুথু ফেলো না,পঁচে বিষ হয়ে যাবে!


আরে! আজ দূর থেকে কে ডাকে?কে ডাকে!
ভোরের পাখি?


উঁহু দয়াময়ী!
ঐ ধানক্ষেতের ঐশ্বর্যভারে নুয়ে পড়েছে আধখানা প্রাণ,
রঙ তাঁর গাঢ় সবুজ ....
                 টাঙিয়ে দিলাম ফসলের নৈশ বিজ্ঞপ্তি!
থুথু ফেলো না,দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে!
আকালের দেশে আমি যে চিংড়িমাছ,
থাকবে শুধু ঘোলা জল.....