★★
কবিত্বশক্তি মানেই জগতের শিল্পরূপ,
কেননা অস্তিত্বের সাথে অনস্তিত্বের মেলবন্ধনের নামই শিল্প।
------------------------------------------------------


★★
কাল-জ্ঞানহারা আমি ,পেয়েছি শুধু তোমার রূপ-রস-গন্ধ,  
তাই বিচূর্ণীত শিল্পচেতনায় নত হয়েছি তোমারি কাছে।


তবু কেন অস্তিত্বের আহ্বানে সাড়া দিয়ে
নিজেকে ভেঙে পুনরায় গড়ে তুলছো তোমার শরীর?


আমি নির্দিষ্ট বলয়,বৃত্ত,বৈভব,উৎকর্ষতার মায়াবী আঁচলে
তোমায় বেঁধে রাখতে পারিনি বলেই
                            কবিতা তুমি সংজ্ঞাহীন।
--------------------------------------------------------

★★
অামি কবিতার শরীরের উপর দাঁড়িয়ে
ঘুরতে থাকি ঠিক লাটিমের মতো,
              এক সময় হয়ে পড়ি স্থির,শান্ত
অামাকে তুলে নিয়ে যায় মহাকাল।
                    অামি বারংবার পিছনে তাকাই
দেখি,বিপুল শূন্যতায়......
অাদিম অালোর মাঝেই
         পাল্টে গেছে অামার চিরায়ত প্রকাশভঙ্গি।
--------------------------------------------------------


★★
না!
                  ভেবো না আজ আমি তোমাদের জন্য
                                        কোন কবিতা নিয়ে এসেছি
এটা কবিতা নয়!


এ যে কালের ধ্বনি…..
                                                     সাধনার আকাশ;
কেউ দেখে  ছাই-রঙা পাখি আর উড়ন্ত ঘুড়ি
       কেউ দেখে ভাসমান মেঘের ভেলা অথবা শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ
এখানে নেই দৃশ্যপট-উপমা-ছন্দ-অলঙ্কার-অর্থালঙ্কার।


পেটের ভেতর যখন ক্ষুধার আগুন জ্বলে
                       তখন কবিতারা হয়ে যায় একে অপরের সতীন
তাদের স্বামী থাকে জেলখানায়…..
                                      ওরা হয়ে যায় বেশ্যা!
ওদের অদৃশ্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে
                                          টাকার ঝুলি কাঁধে নিয়ে  
অদৃশ্য এক দরজায় কড়া নাড়ে মহাকালের খদ্দের।


কিন্তু মহাকালের কবিরা
              উর্বর জমিনে ছিটিয়ে দিতে চায় তাদের কবিতার বীজ,
মুক্ত করে দিতে চায় খাঁচার ভেতর পোষা পাখিটাকে


                     তাই বড্ড জানতে ইচ্ছে করে…..
                                        কবিতা কি?কবিতার সংজ্ঞা কি?
আর জীবন-শিল্প-সাহিত্য-উপন্যাস আমাদের কি দিয়েছে?
                                       কারা নিজেদের দাবি করে কবি?
তারা তো রাস্তার ফেরিওয়ালা
              কবিতা বেচে ঠিকই কিন্তু  পেট ভরেনা!
        তীক্ষ্ণ সুরে ইতিহাস কানে কানে কথা বলতে শিখে…..
আমাদের শুনিয়ে দেয় শুধু পেট ভরার জন্য
                         আজ অবধি কোন কবিতা হেঁটে হেঁটে আসে নি
                    কবির মানসপটে……


ইতিহাস আরো বলে…..
                                     মধুময়-বেদনাময় মুহূর্তের বাচনভঙ্গি
আর অনির্বচনীয় অক্ষর-শব্দ-ভাষার আন্দোলনে
               উন্মোচিত হয় জীবন-রূপ-রহস্যের বেড়াজাল;
সৌন্দর্য সৃষ্টির সহজাত ধারায়
                                    চিরন্তন বোধের ভেতর হতে
জেগে ওঠা কল্পনাসদৃশ ভাবনাগুলো
      শুরু করে  দেয় সত্য-ন্যায় ও জ্যোতির্ময় পথে
                                     তাদের চিরায়ত অভিযাত্রা
তখন বর্ণ আদল ও অবয়ব আর শব্দের খেলায়
                   কালের ধ্বনির মাধ্যমে অবচেতন মনই
তৈরি করে দেয় এক একটি কবিতার প্রাণ
                আর গড়ে ওঠে তোমাদের কাঙ্খিত কবিতার শরীর…….


এবার যাও কবিরা!
                   আগে পেটের দায় মিটিয়ে এসো
তারপর লিখে নিও তোমাদের কালজয়ী কবিতা,
                                মনে রেখো,
ইতিহাস জেগে থাকবে
                            বহুকাল…..
-----------------------------------------------------------


★★
ঘূর্ণায়মান গোলকের ভেতর মনস্তাত্বিক চেতনার দ্বন্দ;
অর্জিত জ্ঞানের বিলুপ্তি ......
মহাজাগতিক দূরত্বের ব্যবধানে প্রতিটি জ্ঞানপাপীই হয়ে যায়
অন্ধকার পৃথিবীর মূর্তিমান যমদূত ।
-----------------------------------------------------------