(১)
কবি জন্ম হতেই নামহীন, বুঝে না যুবতীর আত্মসমর্পণ!
সে জানে, হৃদয় চিরে ভেতরটা দেখা এতো সহজ নয়....


(২)
একটু তাকাও!
                   অন্ধ হতে চাই....


(৩)
         মানুষ পাথর নয়!
                যে কখনো অশ্রুপাত হবে না...
   আরো দুঃখ দাও...
                জল দিয়ে সমুদ্র বানাবো;
                                           স্নান করে নিও....
(৪)  


              আবছা আবছা ছায়াঘন নকশা
                                       মুহূর্তেই চন্দ্রগ্রাস...
শূন্যভ্রষ্ট ফিরিস্তি
         রহস্য-নীল সমান্তরাল পথ
যুবতী হাঁটে...
         হাঁটে আর হাঁটে...
                              শিরায় শিরায় নাগিনী চিত্রপট,
হা করে বিষ-গন্ধী মুখ;
                                            কবির ভালোবাসাকে খায়......


(৫)
হাওয়ারা তোলে জন্ম-জন্মান্তরের সুর,              
                        পথে পথে আমিষ-গন্ধ কিংবা সবজি্-গন্ধ!
বসে আছে যুবতী,
                        আঁচলটা লাল;
চোখ দু’টো নদীর মতো,
                 আঁকাবাঁকা দৃষ্টি...
                                        কবিকে হত্যা করে......


(৬)
জলের ভেতর পাথরে পাথরে ঘর্ষণ
                                অগ্নি-রূপ-মহাস্রোতে ভাসতে ভাসতে
সঙ্গম-মোহনা পেরিয়ে যাচ্ছে
                       কাগজের নৌকো
                           তলিয়ে গেলে কেউ বুঝে না ভাঙনের নিয়ম.....
(৭)
আকাশে জমে মেঘ,
                      চাঁদের মুখে লজ্জা;
বিষণ্ণ আঁধারে পশ্চিমা তুফান
              অথচ আগামী ভোর
                                        কালের মুখাপেক্ষী.....


যুবতী, এখানে এসো!
          শুনতে পাবে জন্মের কান্না,
                            ফুটন্ত ভাতের শব্দ...
এখানে এসো!
         দেখতে পাবে শ্মশান পড়ে আছে....
ছাইটুকু তোলে জমিয়ে রেখো
                                 নইলে বৃষ্টি এসে অস্তিত্বের-চিহ্ন মুছে দিবে....