উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


(১)
কি চাও?কী!
মানুষের অায়ু চাই......


নাম কী তোমার?
জন্ম-খাদক!


বাসা কোথায়?
বিবেকানন্দ উড়ালপুলের কয়েক হাত নীচে......


ধর্ম কী?
নেই.....


দলের নাম?
মাথায় কাঁঠাল-ভাঙা সময়ের ব্যাকরণদুষ্টি.....


উদ্দেশ্য?
অাগ্নেয়-নৌকোয় চড়িয়ে
ক্রান্তিপারে পার করে দিতে চাই জনগণ....


(২)
কবি!
অামি কালের পাঠক;চাই না কিছুই......
           সবই যেন অক্ষরডম্বর।


সে কী!তোমার কবিতার দেশে ছাপার ভুল,
কলম!তুমি কী হবে অভাগা পাঠকের দুঃখভাগী?


     মগজের কোষে কোষে
সরিষার তেল মাখার পর....
           অাড়ষ্টজিহ্বা চায় না রসালাপ!


সভ্যতার বুকে দাঁড়িয়ে
         জন্মের কাছে মৃত্যুর জবানবন্দী শুনে শুনে
ঐ ঐ চটকদার!
          পিঁপড়ের গতিতে পুনরায় হেঁটে যাচ্ছে
ধর্ষিতা সোহাগীর কাছে........


     অাহা সোহাগী!কাঁদিস নে.........


বাংলার মাটিকে ডেকে ডেকে বলেছি,
ও মাটি!চিচিংফাঁক.....ফুঁসমন্তর ছুঁ....
শীঘ্রই পাতালের দরজা খুলে দে!
       হাজার হাজার মুণ্ডুহীন গলিত শবদেহ পাঠিয়ে দিব;
কঙ্কাল বানিয়ে টাঙিয়ে রাখিস ঘাপ্টি মারা
                  ঘনাতিঘন-তমসারূপ অন্ধকারে;
অন্তত জগৎের পীঠে একটু সুঁড়সুঁড়ি লাগুক...
   ক্ষতি নেই...


(৩)
কল্পান্তকালস্থায়ী মৃদুকরকমলস্পর্শে জেগে ওঠুক অামার হেমরত্নপূর্ণা,
রাগমোহাভিভূত শরীরের মীমাংসা করে দিক সঙ্করবর্ণাশ্রমের কল্পসূত্র,


   দেখো, ঐ ঐ নির্জন সন্ধ্যায় হাঁটে অার হাঁটে রতিবেশধারী!
সাবধান!
        ক্রান্তিবিন্দু ছুঁয়ে
বাঁকাছায়ার পীঠে শুরু হয়ে যাবে রতিশাস্ত্রের পুনঃপুনঃ পাঠ,
          শুনো,এ যে যুগঃস্বভাব...........