উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


দৃশ্যপট একঃ
---------------
স্বর্গীয় অপ্সরা!
      তোমার গুপ্তকথা শুনে শুনে
শ্রোণীচক্রের ফাঁদে পড়ে উদরের ভাষা,


       নাভিদেশে বহ্নিকুণ্ডু
টালবাহানা শুরু করে চোখ,
                রক্তে রক্তে ঘূর্ণিনাচ.....


       জাগে কেশপাশ,
কৌতূহলাক্রান্ত অঙ্গে অঙ্গে
               কেবল বিচারশূন্য দিবা-স্বপ্নের বাস।


দৃশ্যপট দুইঃ
--------------
অারে!ভালোবাসা নয় তো স্বভাবদোষ!
         এ যে প্রেমযোনির সুড়ঙ্গে
                     মোনালিসার কঙ্কাল অাবিষ্কার!


দৃশ্যপট তিনঃ
---------------
না,না,পুরুষ তো রূপকার,নারী বিমূর্ত,
      চিত্রপট অাবছা অাবছা অন্ধকার,
অাকাশে ভাসে মেঘ
   মাঝে মাঝে দু'তিনটে তারা জীবন্ত হয়ে ওঠতে চায়
কিন্তু লজ্জা পায় শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ..........


সমুদ্রও হাসে,চঞ্চল স্রোতে সাঁতার কাটে বোবা মাছ
     অপসৃয়মান জাহাজ বুঝে না জলের সন্ধি,
ডুবন্ত খাঁচা হতে
            অাসে নাবিকনীল উচ্ছ্বাস!


দৃশ্যপট চারঃ
-------------
স্বর্গীয় অপ্সরা!
     অাদিম নগরের চিৎকার শুনে
অপাপের স্বাক্ষর রেখে দাও রহস্যফুলের পাপড়িতে....
     শাখা-প্রশাখায় থাকুক বিদ্যুৎ!
গাছের নামটি দিব বিশ্বাদিত্রয়াতীতঅাত্মাশুদ্ধি.....


দৃশ্যপটের সমাপ্তিঃ
------------------
অতিরঞ্জিত সময়ে জগৎ কাল-জ্ঞানহারা;ইথার তরঙ্গধর্মী....
প্রেম তো অাত্মার বন্ধন,তবে হোক অঙ্গশুদ্ধি!


অঙ্গশুদ্ধি
---------
পুরুষের লিঙ্গ ও অাত্মা পরষ্পর বৈমাত্রেয় ভাই....
কিন্তু অসুর রাজ্যে দেখা দেয় লিঙ্গমস্তক শূন্য লক্ষণ;
         মহারোগ!মহারোগ!
বলো,কী উপায়?কী উপায়?


সূর্য্যকান্তমণিজাত অগ্নি পাত্রে ঢালো অমৃত-রস,
              সময়ে সময়ে তা জমা হোক অণ্ডকোষে......


হবে লিঙ্গের মহা উত্থান!
গাঢ় বীর্য দ্বারা ঘটে যাবে মহামিলনের সূত্রপাত......


নারীর যোনিবীজ ও ঋতুরত্নাশীলা পরষ্পর সতীন.....
কিন্তু সুষুম্নানাড়ীপথে ঘুমিয়ে পড়ে প্রলোয়ৎপত্তিবিহীন চেতনা
অার নস্যাৎ হয়ে যায় বিদ্যুৎকোটিসমপ্রভ শক্তি;
         মহারোগ!মহারোগ!
বলো,কী উপায়?কী উপায়?


রহস্যমাখা রাত্রি শেষে অালো-গন্ধী ভোরে
স্বসংবেদ্য পরমতত্ত্বস্বরূপ পাত্রে রাখো সুবর্ণ-পুষ্প,
                নাও অমৃতের ঘ্রাণ,
মুহূর্তেই হিরণ্যগর্ভ হতে
                বেরিয়ে অাসবে অাত্ম-জ্ঞানী জাতক....