(১)


অষ্টাদশী প্রেমিকার পিঙ্গল চোখ
----------------------------------------
সময়ের ফাঁদে খেলা করে ব্যস্ত রাতের যৌবন।
             আয়নায় ভেসে ওঠে অষ্টাদশী প্রেমিকার পিঙ্গল চোখ।


নক্ষত্র হতে নিক্ষিপ্ত যন্ত্রণা, কাঁটা হয়ে জন্মায় আহত গোলাপের পাশে।
নিয়তির বশ্যতায়,খানেকটা অনীহায়,ফড়িঙের ডানায় জলের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
স্বপ্নের অরণ্য ভেদ করে, মিশরের পথে পিঁপড়ের মতো ছুটে চলে বাধাহীন পা;
কিংবা সমুদ্রগামী ঠোঁট, শীতল সাপের মাথায় চুমু দিয়ে,
                        খুঁজে বেড়ায় মমির পাশে রাখা স্বর্ণালঙ্কার।


মানচিত্র নিখোঁজ।হাঁটলেই সমুদ্র সরে যায় ………
বিক্ষিপ্ত ভাবনারা, তারা হয়ে ফোটে দিকচিহ্নহীন আকাশে;
বালিয়াড়ির প্রান্তরে পড়ে থাকা ডাইনোসরের ফসিলেও নীরবে কাঁদে পুরানো ইতিহাস।


পরিশেষে, অশ্বনাল বৃত্তে ঘুরপাক খায়, সেই ব্যস্ত রাতের যৌবন।
              ক্রমশ মিলিয়ে যেতে থাকে অষ্টাদশী প্রেমিকার পিঙ্গল চোখ।



(২)


তুমি জাগ্রত হও
----------------------
কে করবে সময়ের বিচার?
বেরসিক ষোলকলার হারমোনিয়ামে
            কম্পিত আঙ্গুল শুধু খুঁজে
                              সারেগামার ইতিহাস।


দেমাগী সন্ধ্যায় সুরহারা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনে
পোষমানা শ্বেত পায়রা কখনো ফিরে আসেনা চৌখুপির ভেতর।


মাংসের গন্ধ শুঁকে বসনের নিচে লুকায় নিরাপত্তাহীন রাত,
পাঠের তৃষ্ণায় কেবল মুখস্ত হয় শরীরের ভাষা,
কিন্তু মূর্তিমতী দেহ চায় সিদ্ধিলাভ!


নারী,তুমি জাগ্রত হও!
নিঃশ্বাসের ছন্দে আমি বাজাবো গিটার।


ভ্রাম্যমানতায় তুমি নিজেকে বিন্যস্ত করেছো জ্যামিতিক পাতায়
নিঃশব্দে গড়ে তুলেছো আলোকময় বৃত্ত,
               যার কেন্দ্রে আছে তোমার পবিত্র সত্তা।


যদি কোনদিন মাছেদের স্বপ্ন দেখে জেগে ওঠে সমুদ্র
আর তা যদি কখনো ফিরিয়ে দেয় তোমার জলজ যৌবন
তবে গন্ধরাজের মাতাল নেশায় দেখে নিও বাতাসের সহবাস।
নিমেষেই হৃৎস্পন্দন ফিরে পাবে দেউলিয়া নক্ষত্রের ভীড়ে.....