উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা।


দৃশ্য একঃ


আঁধারের শেকড় থেকে
     দুঃখের ফিরিস্তি ছড়ায়
         পিদিমের পোড়া শলতে।


ওদিকে ফিনকি হাসে
    নেংটিপরা আটপৌরে চাঁদ.
জলের খোলস ছেড়ে উঠে আসে
    উজানী রাক্ষুসে মাছ।


দৃশ্য দুইঃ


মেটেনি একমুঠো ভাতের ক্ষুধা
      অথচ সোনাভরা ফসলী ধান
           রঙের কৌটায় ভরে
মুখ খিস্তি করে-তাগড়া ঘোড়ায় চড়ে
  রোদপোড়া চোখের উত্তাপ দৃষ্টি নিয়ে
চলে যায় দস্যুবাহিনী-হরিয়াল বনে।


দৃশ্য তিনঃ


দেমাগী শহরের এক লাল পথের ধারে,
     কাকভেজা ভোরের সাথে-
কাঁচামিঠে রোদ্দুরের মিতালীতে
       ফুটেছে শ্রাবণের রক্তজবা।
সেই লাল পথে পিপিলীকার মত
  হেঁটে যায় জনতার খলনায়ক
          ছায়া দৌড়ায় পিছু পিছু।
    তার এক হাতে দাসত্ব
         অন্য হাতে রাজত্ব,
           পা দু’টো ছিলো বড্ড বাঁকা…..


দৃশ্য চারঃ


খোয়াবী রাতে ঋতুবতী বালিকা-রা
   বীর্যের কাহিনী শুনাবে সমাধির পাশে,
যেখানে ফুটেছে অজস্র বকুল ফুল,
             আছে মৌ মৌ গন্ধ।
কিন্তু আধা-বুনো মানবেরা কখনো তাদের কাহিনী শুনেনা….