গ্রামে গেলে এখন আর
শুনিনা শেয়ালের ডাক সন্ধ্যায়,
মাগরিবেরর পর কবরের অন্ধকার
নেমে আসেনা অজ পাড়াগাঁয়।।


ঝকঝকে চকচকে বিছানার মতো
পরিষ্কার গ্রামের চারপাশ,
কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে
দু'একটা জীর্ণশীর্ণ  বট, কড়ই, শিমুলের গাছ।।


জঙ্গল নেই, হুক্কাহুয়া আওয়াজ নেই
ঝিঁঝিঁ পোকারা বাজায় না বাঁশি,
ভয়েভয়ে কোথাও ডাকে পাখি
ভয়ার্ত সুর, কর্কশ লাগে বড়বেশি।।


সিমেন্টর খাম্বায় বিলীন বাঁশঝাড়
বিদ্যুতের ঝলকানিতে ম্রিয়মাণ জোনাকির আলো
বুক পকেটে জোনাকি পোকা ভরে
ফুর্তিতে ছুটাছুটি করেনা ছেলেমেয়েগুলো।।


নদীর পানি মিইয়ে গেছে স্রোত নেই
পালতোলা নৌকা নেই, মাছ নেই
নদীর বুকে দুঃখের বালুচর
মাঝিদের, জেলেদের সুখ নেই।।


গ্রাম হারিয়েছে তার নিজস্বতা
সৌন্দর্য, ঐতিহ্য, অপরুপতা,
সংস্কৃতির গায়ে ধরেছে পচন
খুঁজে পাওয়া মুশকিল স্বাতন্ত্র্যতা।।


গ্রামে এসে তৃপ্তি পাইনা
আসি শুধু নাড়ীর টানে,
বাবামার স্নেহের লোভে
আর রঙিন শৈশবের পিছুটানে।।