পাহাড়সম বিরাট বপু
সিংহ শার্দুল দীল
যালিমের আকাশে ক্ষীপ্র শাহিন
দুর্দম আবাবিল !
মরু পাহাড়ের পাথরের চূড়ায়
উড়ায়ে নিশান খোদার
অবিরাম কেটেছে জুলুমের দেয়াল
তোমারই জুলফিকার !
শত প্রলোভন সুখের ঠিকানা
থামাতে পারেনি তোরে
শত দারিদ্রে  কাটিয়েছ জীবন
ভোগহীন সংসারে ।
তাগুতের সাথে করোনিক আপোস
রাজ্য সুখের লোভে
ভোগের জীবন তালাক দিয়েছ
সত্য সুখের মোহে !
কোটি শত যুবকের শ্রেষ্ট তুমি
বুকে বেধে আল-কুরআন
সব কিশোরের আগেই তুমি
প্রথম মুসলমান !
আশাদুল্লাহ ! আল্লার শার্দুল
মিটাতে ধরায় কুফর
কাসুস দুর্গের লৌহ কপার্টে
তোমার নতুন সফর ।।
শত নিপিড়ন যুলুম যেখানে গেছে চরমে ঠেকে
সেখানে তোমার নতুন সফর
জেগেছে রক্ত মেখে ।
তেজদিপ্ত মরুরবি তব লজ্জা পায় তোমা দেখে
যুগে যুগে তব নতুন রবি
উঠিছে আলোক মেখে ।
কখনো রুধিতে পারেনি কেহ
ধাবমান তোমার গতি
অমানিশা ঘোর কাটিয়েছে তাই
তোমারই সুবাস জ্যোতি !!
বিনম্র সংগ্রামী সালাম তোমায়
হে সালারে আযম-
তাকবীরে তোমার কাঁপিত ধরা
কিসরা কিংবা রোম !
মিথ্যার সাথে আপোস করোনি
তোমার জীবনে কভু-
আপোস তোমার হয়েছে কেবলি
নবী ও তাঁরই প্রভূ !
পাষাণের মত শক্ত হৃদয়-
যবে বেদ্বীন কুফরে বেঈমান ;
বরফের মত শীতল হৃদয়
অসহায়জনে মেহেরবান ।
আলী হায়দার ! আলী হায়দার
কোথায় তোমার জুলফিকার ?
দ্বীন বুঝি আজ যায় চলে যায়
এসো না হে তুমি একটিবার
রক্ত সাগরে ডুব দিয়ে মরি
আগামিতে ফের বাঁচিবার ।
কত দিন গেছে কালের
খেয়ায় মরু সাইমুম ঝরে
জাগিছে আজো পৃথিবীর বুক
তোমার মশাল ধরে ।
শত দীনতার বোঝা নিয়ে বুকে
চালিয়েছ তব খিলাফাত
দুঃখিরা কাঁদেনিক বিচারের তরে
তোমার বেহেশতি সালতানাত ।
ক্ষীপ্র তোমার চলমান গতি
অটল সাহসি পাহাড়
কাঁদিয়েছ তবু করুন বিলাপে
ভয়ে হাশরে খোদার !
তোমার মত সাহসী শাহিন
বেহেশতি ঈগল খুঁজি-
মানুষের পূঁজায় মানুষের পূঁজাঘর
ভাংতে আজো জুঝি ।
নিঃসীম গগনের উধর্ধ মিনারে
লেখা কি তোমারই নাম
যুগ যুগান্তে যে নামে চলিছে মানুষের সংগ্রাম ।
আলী হায়দার তাকবীর শুনি
দিগ দিগন্তে আজ ;
ভাংতে শতাব্দীর শোষনের চিতা
নির্মিতে আগামী তাজ ।।