অনেক ভাবিয়া এক মন্ত্রী-মশায় একটি উপায় করিল স্থির
যে ভাবেই হোক জ্ঞানী-গুনিদের করিতে হইবে খাতির।
শুরু হইল সাহিত্য লইয়া, হইবে কবিতা পাঠ
নবীন-প্রবীণ করিয়া হাজির, সস্তায় করিবে মাত।
উপস্থিত হইল কবিরা সকলে, উপস্থিত সাংবাদিক
উপস্থিত হইল শ্রোতৃবৃন্দ, উপস্থিত সাগরেদ অনেক।
কেহ পাঠ করে প্রেমের কবিতা, কেহবা পরিবেশ ল’য়ে
কেহ পাঠ করে বঞ্চনার জ্বালা, বহু গালা-গাল দিয়ে।
জীবন-বোধের নানা বিধ রস, জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা মরকোচ
নানা ভাব, নানা ছন্দ- উঠে আসে একে এক।
ছোট-বড় কত কবিতার কি ভাবে হবে প্রকৃত বিচার
গণতন্ত্রের ধারক হয়ে কিভাবে করে বহুর প্রতি অবিচার।
কোন কোন গুণীজন করে অনুরোধ- রাখিতে বিজ্ঞ-বিচারক
মন্ত্রী কহে আপন জনেরে, কাজ হইবে উদ্দেশ্যের অনুপূরক।
আমন্ত্রিত অভ্যাগত সকলেই মোর সম্মানীয় গুরুজন
বিচার করিয়া, কাহার করি স্তুতি, কাহার হই বিরাগ ভাজন।
উপস্থিত সকল কবির, পুরস্কারে আছে সমান অধিকার
চুলচেরা বিচার করে, কেন হই পক্ষপাতিত্বের স্বীকার।
‘লটারিই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকৃত বিচার’- মাননীয় মন্ত্রী-মশায় করে ঘোষণা,
কবিকুলের বৃহৎ অংশ দেয় করতালি- সংখ্যালঘু উচিতের কণ্ঠ রুধিয়া।