অখন্ড বাংলার নীলাভ জলে পাল তুলেছি খেয়ায়
ভৈরব রূপসা কিংবা আঠারো বাই ঘুরে
হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৌছেছি কল্পলোক
জাহানাবাদ-সুফিবাদ হয়ে লিখে চলেছি কবিতা
বাস্তবিক রুপ পাল্টেছে কিছুকাল আগে
শুধু কল্পলোকে তার বাস নির্জনতায়


পদ্ম পাতার শিশিরসিক্ত এক খানি নুপুর
কড়া নেড়েছে আমার দরজাকবাট
জেগেছে হৃদয় সে শব্দের ঝঞ্ঝানিতে
ঘুমিয়ে যাওয়া মনের রক্তপিণ্ড থেকে
কল্পলোকের রাণী জলকন্যারর অপেক্ষায়
উত্তর থেকে দক্ষিণে।


কল্পলোকে প্রজাপতি আর গোখরো খেলে লুকোচুরি
সকালের শিশিরধৌত পদ্মপাতার পর
ঘাসফড়িঙ তখনও জানেনি সব
বাস্তবতার ঢেউহীন কল্পলোকে জলকন্যার বাস


শেষ কবে তাকে দেখেছিল কবি, মনে নেই ।
দিনক্ষন তারিখ ভুলেছে বৈশাখী ঝড়ে
কোন এক রাতের অন্ধকারে।
ভৈরব জল ছুয়ে দেখেনা আজ-কাল
বসে থাকে স্পর্শ কাতর পর্দার সামনে
অপেক্ষা জলকন্যার।


কবি বেশে শেষ গৌধুলীর আগমনী করুন অপেক্ষা
ততদিনে হৃদয়ের প্রাচীর ভেঙে
উত্তরের দেশ থেকে দেশান্তর হয়ে কল্পলোক পৌছে যায়।