(এই কবিতাটিতে এক মায়ের মনের অবস্থা বর্ণিত হয়েছে,
যার সন্তানেরা বিদেশে উচ্চ প্রাতিষ্ঠিত।
মায়ের মন অর্থতে ভরে না, ভরে শুধু সন্তান স্নেহতে ।)


মনেরে বোঝাই কত, শোনেনাকো মন,
গুমরি গুমরি মরে, মানেনা বারণ।
যত বলি হোসনে  চঞ্চল, মন কথা শোন,
মোর সন্তানেরা, মোর আঞ্চলের ধন।
অবুঝ হিয়া মোর, কেন ভাবিস মিছে বসে,
জীবন গড়ার লাগি, অঞ্চলের নিধি মোর রয়েছে বিদেশে।
তাই বলি ওরে, এতো বুঝেও কেন ভাবিস অকারন?
বুঝেও বোঝেনা কেন ভাবনা বিহ্বল মন।
অকাতরে, বিনিদ্রায়, চিন্তিত এ মন,
এ মন শোনেনা বারন, কেবলি ঘোরে ফেরে সারাক্ষন।
বুঝেও বোঝেনা সে যে, মানেনা শাসন,
প্রকাশ করেনা কিছুই, বুকে চেপে ধরে, শ্বাস ফেলে অনুক্ষন।
বুকভরা ব্যাথা নিয়ে, মনে কষ্ট হলে পরে, মনে মনে যুঝে,
কাহারে বলেনা কিছু, মনের কথা লুকিয়ে মনে, শুধু মুখ বুজে।
একাধারে সঙ্গোপনে, আপনার মনে মনে, অশ্রুবারি ঝরে,
শুধু ভাবি একান্তে, মনে মনে এই চিন্তে, সন্তানেরা কবে আসে ঘরে।
সোহাগে, শাসনে, যাদের করেছি পালন, যতন,
তাদের ছাড়িয়া থাকিতে হবে, এই তো নিয়ম।
এতো অবুঝ মন আমার, বুঝেও নাহি বুঝে,
কেমনে বোঝাই বল, এই মন অবুঝে।
সবই রয়েছে, তবু কেন লাগে একা একা,
সন্তানেরা কাছে নাই মোর, তাই লাগে ফাঁঁকা।
মনেরে শুধাই ওরে, কেন হোস এত উতলা,
'মন' মনেরে বলে, ওরা কাছে না থাকিলে, আমি বড় একলা।
মনেরে বুঝালে 'মন'  বাধা নাহি মানে,
কত রাত্রি কাঁঁদে শুয়ে গোপনে গোপনে।
-----------------*-----------------