হেমন্তের আগমনে বহে হিমেল বাতাস ,
কুয়াশায় নয় ধুঁয়াশায় ভরে সারাটি আকাশ।
পাখীদের নেই কলতান সুমিষ্ট কলরব ,
সব পাখী খেই হারা বিরহ বেদনায় নিরব ।
শিউলী ফুলে ছেয়ে নেই শিউলী গাছের তলা ,
হেমন্তের আগমণে বিদায় নিয়েছে বুঝি এইবেলা  ।
রজনীগন্ধা গাঁদা আর হাসনুহানা করে কানাকানি ,
শরৎ নিলযে বিদায় ভাসে হেমন্তের আগমণী  ।
কখনো হিমেল হাওয়া কখনো রুক্ষ বাওয়া ,
শীতরানী আসছে তাই হেমন্তের বিদায় নেওয়া ।
কত জানা অজানা পাখপাখালী  যায় আসে,
হরেক রকম বিহগের কাকলী কূজন জাগে হরষে ।
হেমন্তে আমন ধানের গন্ধে মাতাল অবনী ,
সোনালী ধানের ক্ষেতে জাগে নবান্নের পদধ্বনী ।
কৃষকেরা কৃষি কর্মে কর্মরত সদা সারাক্ষণ ,
কৃষাণীরা ধান কাটে আঁটি বেঁধে করে আনয়ন ।
কৃষিকর্মে ব্যাস্ত সদাই নাওয়া খাওয়ার নেইতো সময় ,
কৃষকবৌ কাটে ধান রাঁধে ভাত সময়ের করেনা অপচয় ।


      *************************
সন্ধ্যা - ৫ : ৩0 মিনিট ।
২৯ /১০ /২১ শুক্রবার ।
রবীন্দ্রনগ = মেদিনীপুর ।