নহে  প্রিয়া নহে ভগিনী সুন্দরী রমনী,
নহে বালা নহে জননী বসে একাকিনী ।
পথপ্রান্তে বিরলে বসিয়া ফেল অশ্রু অবিরত,
মস্তকে ছায়ার ঘোমটা টানি কার অপেক্ষায় রত!
যেন পৃষ্ঠ দেশে আলুলায়িত কেশ, মাখা মসি,
গগন সকাশে যেন মেঘমালা ভাসে রাশি রাশি।
কে তুমি বিজনে বসি থমথমে অসিত বয়ানে,
যেন পুঞ্জি ভুত মেঘমালা হতে বারিধারা  আসে বরিষনে।
যেমতি নদীর জলে ভরাঢেউ উথালে পাথালে,
তেমতি,ভৈরব জটা হতে ভরত সাথে গঙ্গা,ধরাধামে চলে।
ছায়াতলে আনমনে বসে, হাওয়ায় উড়ায়ে এলোকেশ,
তব পদতলে যেন ভোলামহেশ, ধরে শব বেশ ।
সন্ধ্যা নামার কালে গোধূলি লগনে,
ধরিয়াছ যোগী বেশ হইয়ামগনে ।
সন্ধ্যা যবে নামে অন্ধকারে,কালো ঘোমটা খানি,
শাড়িতে ঢেকেছো মুখ, তব স্বর্নাঞ্চল টানি ।
সূর্য্যতপা তুমি যেগো প্রভাতে,শিশিরে,অবগেহে,
এলোচুলে বাঁধ বেনী, চম্পা, চামেলী, বেলি দিয়ে ।
রুদ্র বেশে নৃত্যে মত্ত নটরাজ সম, তুমি রুদ্রানী,
ভয়ঙ্করী ঝঞ্ঝা রূপা হও তুমি, ভীষনা-ভামিনী ।
চঞ্চলা বালিকা সমা, নৃত্যে মত্ত নদীর কলতানে,
সামান্যা নহেতো তুমি, "অসামান্যা" গীতবিতানে ।
জননী, জায়া, তনয়া, প্রেয়সী, ভগিনী,
কেহই নহেতো তুমি "অসামান্যা" রমণী ।