আজ এপাড়ার ভুতোর হবে বিয়ে
পেয়েছে সে এক অতি খাসা মেয়ে ,
পাত্র হিসেবে ভুতোও তবে বেশ
গুনের বর্ণন করলে হয়না শেষ।
এই কথাটাই ঘুরছে সবার মুখে
থাকবে দেখো দুজন ভীষণ সুখে ।
কী বলছেন চেনেন না আপনি তাকে
কচি থেকে বুড়ো সব চেনে একডাকে,
শুনুন তবে বোঝাই ভুতোর কথা
খর্ব কায়ায় বসানো আস্ত মাথা,
পিচ কালো গা তার সঙ্গে মস্ত ভুঁড়ি
বাচ্চারা সব ভয়ে পালায় এমনিই বাহাদুরি।
নাকটি তার গুহার মতন রক্তজবা চোখ
দুহাতে খাবার গিলতে পারে,  চমকে দেখে লোক,
পরিচয় তার এবার দেব কত যে তার নাম
এক জায়গায় থাকে নাকো সে আছে বহুবিধ ধাম,
ভালো নাম তার হুতুমসোনা কেউ কেউ ডাকে প্যাঁচা,
ছমাস যদি বাইরে থাকে ন-মাস জোটে খাঁচা।
আহা এ খাঁচা পাখিখাঁচা নয় পেল্লাই একঘর
আলিপুরে সেই ঘরখানা যেন বিশ্বকর্মার বর,
যাকগে সেসব শুনুন তবে বিয়ের কথাই বলি
পাত্রীটাও গুনের বহর নাম কৃষ্ণকলি।
আজ সকালে ভুতোর গায়ে যখন হলুদ ছুঁলো,
পাড়াশুদ্ধ কুকুর যত খ্যাঁকখ্যাঁকে তেড়ে এলো,
তারপরে তো সেএক কান্ড কি আর বলি খবর
ভুঁড়ির চোটে পোষাক গলে না মাথায় আঁটে না টোপর
দেখতেন যদি জোড়ে তাদের মানিয়েছে কি ভালো,
এতক্ষণে বোধহয় বিয়ের পালা সাঙ্গ হয়েই এলো,
আরে যাচ্ছেন কোথায়,  জমিয়ে বেশ খেয়ে তো যান দাদা
আশীর্বাদ করুন যেন ভুতো-কলির বাচ্চাটি হয় সাদা।