যখন আমি জন্ম নিলাম
ঘন্টাকয়েক আগে
মানুষগুলো ফিরলো বাসায়
আনন্দে - অনুরাগে।
রবি - টবি কে বোকা করে
পাঠাতে হলো বাড়ি,
সদ্যোজাত শিশুর মাথায়
দায়িত্ব বেশ ভারী।
আকাশ পাতাল ছিন্ন করে
ছড়াই আমি যখন
আমার ডরে সবার ঘরে
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।
একটু পরে চাঁদ ওঠাতে
যৌবন পেয়ে আমি,
গর্ব করে বলতে থাকি
দিনের চেয়ে দামী।
সন্ধ্যা থেকে নিশি হওয়ার
হর্ষ মেখে গায়,
তারাগুলোকে আদেশ করি
আকাশে যেন ছায়।
জোনাকিদেরও বলতে হয় না,
আমার কথা শোনে
প্রেমিকেরাও আমায় পেলে
রাতের তারা গোনে।
ঝিঁঝিঁ পোকারা বেশ বেয়াদব
আমায় জ্বালায় রোজ
কোন যেন এক লাঠিওয়ালা
সর্বদা নেয় খোঁজ।
এমনিতে বেশ সুখিই আমি
দুঃখ শুধুই একটা,
বাচ্চাগুলো ভালোবাসেনা
পাওনা আমার রাগটা।
সবাই দেখি ভয় পায়
আমি এসে যাই পাছে,
কেউ তো আবার বেজায় খুশি
পেলে আমায় কাছে।
অনেক আবার আমায় পেলে
লজ্জা শরম ভোলে,
বিনা দ্বিধায় রাখে মাথা
কোন অচিনের কোলে,
দিনতো সবে ক্লান্তি দেয়
বিশ্রাম দিই আমি ,
সম্পর্কের দৈবজালে
জড়াই অনেকখানি।
সারাদিনের বর্জ্য তাদের
আমার গায়ে মোছে,
আমায় কালো ঘৃণ্য করে
রঙিন স্বপ্ন খোঁজে।
দেখতে দেখতে বয়স বাড়ে
ফুরিয়ে যায় বেলা
দিই তো আমি অল্পটুকুই
নিয়ে যেতে হয় মেলা।
আমার মরণে সুবাস নিয়ে
পলাশ বকুল আসে ,
ঘাসেরাও যে দুঃখ পেয়ে
চোখের জলে ভাসে ।
আমি কিন্তু পাইনা কষ্ট
প্রতীক্ষা করি আশায়,
কখন আসবে নতুন ভোর
মারতে ভালোবাসায়।
পৌঁছবে যখন পাখির গানে
আমার মৃত্যুসংবাদ,
ব্যর্থতাকে মুছে দিও
কোরোনা প্রতিবাদ।