তোমাকে ঘেন্না করতে শিখে গেছি, জলশহর


আদ্যপ্রান্ত শুধু ঘেন্না, বুক চাপড়িয়ে হাহাকার নয়
এক মুঠো মাঝ দুপুরের অতর্কিত হামালার ঘেন্না
রোজ জ্বর আসে। মুখ লুকাই। মুখ ঘসি উত্তেজনায়।
ছাতিম গাছের ধারে দাঁড়িয়ে, পর্দার বেহিসাবি বিচরণ
                মাঝে
                মাঝে
                উন্মুক্ত শরীর আর শব্দের কানাকানি
ভেদ করে চলে যায় হেরে যাওয়া অস্তিত্ব,
                                        কুঁচকানো ছায়া
                          


তারপর উঠে চলে আসি; ঝিলের ধারে বসে
নিচু করি চোখ। যদিও দাপটা আর নেই, আগুনও নেই।
আসলে দিকভ্রান্ত বলতে যা বোঝায়
                                    এই সময়টা ঠিক তাই;
আবছা অন্ধকারে সালোয়ারের রঙটা যা একটু ...
বেমানান।


এখন উড়ো চুলে হাওয়া খেলে যাওয়া, রাত নামছে
উষ্ণতার পারদের মতন ঝরছে ভুলে থাকার ইচ্ছে,
         রাগ
         এখন ফাঁকা রাস্তা ধরে ফিরবো। আবার দাঁড়াবো।
জানলা;
         আলো ছলকে এসে ভাসিয়ে যায় নতুন চারা
         বোধ হয় দোপাটি।
গুনগুন শব্দে আনচান জমাট আঁধার;          এবার কি?
ঘেন্না?
দীর্ঘশ্বাস?
.
.
.
হাত নেড়ে ছায়ারা বুঝিয়ে চলে ... শিখে গেছি


তোমাকে ঘেন্না করতে শিখে গেছি, জলশহর।