১) গান


কর্কশ। ঠোঁট না    আঙুল?
ছুঁয়ে দেখা যা সব আলাপ-পরিচয়
এখন নেমে যাবে
রাত, সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্কের মতন
আঁকড়ে ধরে, জামা, বুক, তলপেট। এই শোনো
কুয়াশার শব্দে ভেসে যে উষ্ণতা আসে, গান শোনায়


নীরব যত রাত দাড়ায়ে দুয়ারে
শূন্যতা জমা, শোনাবো কাহারে।


২) পদচারণ


ঘুমপাতানো রাত এখন;
দিন যাপন ছেড়ে চলো হেঁটে আসি
চাঁদ পথে বেয়ে নিত্যতার শক্তি আবাহন
আমাদের প্রশ্রয়, শিশির অনুভব দেয়।


পদচারণ, বলতে আমরা যা বুঝি তা সবটা নয়।


৩) পথচারী


আরকজন পথচারী;
অনেক ক্ষণ খণ্ড খণ্ড ভাবনাদের জুড়ে একাটা ছবি আঁকছিল।
এখন সে ভাবছে, ফেলে আশা শেষ কয়েকটা ঘণ্টা সে কথায় জুড়বে।
বাগানের লাইট গুলো জ্বলে উঠলে, রাত নামবে, নারী ও পুরুষ আসবে
আপেলের গন্ধে ম ম করবে ঘাস; আর গাছ জমা রাখবে স্মৃতিদের ফ্ল্যাশব্যাক।


8) ৭৮ নং রুম


আমাদের মধ্যে শুধু মজাটা, ইনফিনিট
বাকি তোর ঠোঁটের রং মেখে আমার দশ দিনের
না কামানো দাড়ি। ভয় হয় বুঝলি
চাঁদ কে ডোবানো এক সমুদ্র জল ও বালির
মাঝে দাড়িয়ে, ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে বলেছিলি
আজ শুধু এই টুকু, বাকিটা স্নান করতে নেমে
এখন মধ্যরাত
সব চুক্তি ভেঙে সাঁতরে বেড়াই বাথটাবে
নুনজলে বুঁদ সাগর-সৈকত এর ৭৮ নং রুম।