এখন ফেরবার তাড়া নেই আর;
শেষ ট্রেন এসে দাঁড়াবে, জংশন থেকে
বিতানপুর লাস্ট লোকাল।
কিছু কামরায় শূন্যতা কথা বলে
কিছু কামরা একাকীত্ব কে চাপা গন্ধে মিশিয়ে, গা গড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি।
আমি ফিরবো,
যদিও ফেরার তাড়া নেই; তবুও। আমি জানি আমি ফিরবো।


চামড়া ওঠা কামরা, সারাদিনের শেষে জমে থাকা কথা বিকিরণ করে। সকালের কাঁচা সবজি ঘ্রাণ, কলেজ যাত্রী দের খুনসুটি, নিত্য যাত্রীর বিচরণ, চাওলার ফোস্কা থেকে বাদামের খোসা ছাড়ানোর আবদার; সব শব্দেরা ফিরে ফিরে আসে চাপা উষ্ণতার লোভে।


ঠাণ্ডা কাঠের সীট, ঝাপসা রুমাল পড়ে থাকে কারো অপেক্ষা নিয়ে। এক দিন সে বসত পাশে। ঝালমুড়ির টুকটাক, চেপে বসার অনুরোধ, ভিজে ব্লাউজে পাউডার গন্ধ। সবটাই পরে থাকা প্লাটফর্মে উঁকি ঝুঁকি মারে।


অন্ধ মাখন তার হারমোনিয়াম রেখে মাঝে মাঝে আমার পাঁশে বসে পড়ে। তার ঝোলায় খুচরো পয়সার কোলাহল। দিন দুনিয়ার কথা বলতে বলতে কখন নিজেই চুপ করে যায়। শীর্ণ হাতের আঙুল গুলো আরও আরও জোরে চেপে ধরে জানালার রড।


দূরে তখন অচিন গায়ে চাঁদ;
সন্তানের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে গাইছে ঘুমপাড়ানি গান।


একটা অবহেলার দিন যাপন করে ফিরছি বিতানপুর
একটা রাত তোমার বুকে মুখ রেখে কাঁদবো ... আবার।