8)


বিতানপুরের গা-ছুঁয়ে
ঘুমজাগানিয়া মাঠ। ভরা জ্যোৎস্নায় ভিজিয়ে নেয় চোখ।
উদাম শরীর জুড়ে আলপনা একে যায়, হাওয়ার মাতলামি
চোখের সামনে ডানা মেলে সব হারিয়ে যাওয়া প্রজাপতি
কেউ পৃথিবীর আলো দেখেনি কেউ বা প্রথম আলোর সাথে
শেষ বাতাস নিয়েছিলো বুকে। কেউ শহরের আলোতে
রঙিন ডানা বিকিয়ে আদপে নিঃস্ব।


ঘুমজাগানিয়া মাঠ তাদের সবাই কে আপন করেছে
এখন রাত জুড়ে শুধু প্রজাপতির কবিতা আলাপ।


৫)


এখনো বিতানপুরে নতুন কেউ এলে; তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়
পুরানো রাজবাড়ি দেখাতে।
পুরানো রাস্তা বলতে আর কিছু নেই, শুধু ভাঙা সিংদরজা পেরিয়ে
একটা বড় মজা দীঘি; স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দেখাতে থাকি নীল টলটলে জল
দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো রাজহাঁসের ছায়া আর রুপোলী মাছের গন্ধ।
দরজার সামনে বাঁধা জোড়া হাতি; মাহুতেরা সদা ব্যস্ত তাদের পরিচর্যাতে
উঁচু দরজার গায়ে খোদাই করা ফুল, পাখি আর গাছের অবয়ব
সামনে খোলা পরিসরে হাঁকডাক করা দাসদাসী, লাঠি হাতে বরকন্দাজ
একে একে পেরিয়ে আসি;   মহল এর পর মহল
অপরূপ কারুকার্য আর চোখ ধাঁধানো ঝাড়বাতি মোহিত করে রাখে।
যদিও সে সব ইতিহাস তবুও উষ্ণ নিঃশ্বাসে দীর্ঘশ্বাস কথা বলে।


ভাঙা খিলান আর মাকড়সার জাল ছিঁড়ে বাইরে এসে আমারা চুপ করে যাই।
ছায়া থেকে বার হতে হতে মনে পরে যায় আরও গল্প ...
এবার সেগুলো শুরু করি। অবিশ্বাসের মেঘ যদি কেটে যায়।