(ভাষা দিবসের শুভেচ্ছা)


অগুনতি মানুষের আশা নিরাশা
ঠাসাঠাসি ভিড় ছিল
ওই অফিসেই …….
নিয়মের লাল ফিতে খুলবে কী গিঁট
চুক্তির খেলাপের কারণ খোঁজে?  
কোণের টেবিলে ছিল  প্রথম দেখা  
সংক্ষেপ ইতিকথা জানার ঝোঁকে ।  


পরিপাকে গোলযোগ, নয় সে জটিল
কুটিল জালে বা যদি  ভীষণ জোলো ;      
‘কিন্তু’ কথাটা থাক দূরের শেলফে
তুড়ি মেরে সমাধান এই বুঝি এলো ।        


ঘাড় কাৎ ঠোঁট চেপে মৃদু হাসি
পেলাম আশ্বাস -
ঐ চোখে সেই ক্ষণ লসিত উচ্ছ্বাস ।  


সকালে দেখেছি টবে গোলাপ কুঁড়ি  
কুয়াশার ছিটে জলে সবুজ বৃন্ত ।  
দিনমণি ছুঁয়ে যাবে ঊষ্ণ আদরে
সাঁঝ বেলা শীত হাওয়া করবে শান্ত ।


আলমারি পাল্লায় - আয়নার কাঁচ
যেখানে যা সব স্থির,      
খুব স্বাভাবিক ;  
সমাধান হাতে পেয়ে বললাম - ‘প্রিয়’
ফাঁকা বুলি মোটে নয়
কথা আন্তরিক ।  


আম জাম কলা লেবু আতা পেয়ারা
সময়ের তালে নাচে পেলে ইশারা ।      
দিনটা এমনই যায় বাঁধা এক ছকে    
কতলোক এলো গেল তবে কেন সে?  


দিন যায় সমাজে আবোলতাবোল  
টবের গোলাপ কুঁড়ি তাও খায় দোল
তুলনায় আজ আর নেই কোন জুড়ি  
পাপড়িতে লাগে রঙ লাল-খয়েরি ।  


কীগো আজ মনে পড়ে সে সব কথা……    
প্রেমের বলাকা ভাবে তঞ্চকতা ।