শাওন শেষ ভাদর শুরু, এলাম কোলকাতায় ।  
লবণভরা ভ্যাপ্‌সা গরম সাথে শহর জ্যাম
তুই তো লেখক-কবি!
কল্পনাতে এঁকেই নে না  ছবি –
‘হিমালয়ের চূড়োয় বইছে
স্নিগ্ধ-শীতল হাওয়া ।‘


আধেক ভেজা ভোরের সকাল ......
লিখতে গিয়ে থেমে ;
নজর গেলো ছোট চিরকুটে -
“বরফ জলে অবশ শিরা, অবনত শির,  
ছোট পাখী আমার ডালে বসে
দোল খেয়ে গান গেয়ে গেল -
ঘাসের ডগা যেমন ছুঁলো আমায় ;
লাজুক বদন লুকিয়ে রাখি কোথায় ?”


দিয়াশলাই খোলে বেঁধে সূতো,
মনের বার্তা গেল দ্বীপান্তর ।  
উষ্ণ-শীতল মাতাল হাওয়া
পলাশবনে হয়নি তখন শেষ ;
দোল যাত্রার আবীর ফাগুন
কাটেনি তার রেশ ।  
আকাশপানে শঙ্খচিলে চোখ,
হাত দুটো তার ডানা হয়ে
উড়িয়ে দিল মন ।  
সূর্য্যবলয় পূর্ণগ্রহন শেষে, দেখা পেলাম
ঐ আলোতে তাকে, চলে গেলো -  
নিঙড়িয়ে মন মুচকি হেসে ।


সবুজ রেখায় প্রান্ত ঘেরা গাছে
মেঘ বলাকা ঘুম শরীরে চুমে
‘না পাঠানো অনেক কথা জমিয়ে নানা ভাঁজে’  
ফিসফিসিয়ে কথা ভাসল কানে -
‘গোটা শব্দের সংজ্ঞা নিয়ে
আবার আসছি ফিরে ।‘  


গ্লাস ভরা উপচে পড়া সাধের মদিরা -  
ঝিলিক দিয়ে ভেসে উঠল ছবি
তোমার কাজলদীঘি চোখ,
গোপন রাতে ধার করা হাজার তারার বাতি ।  
খসখসে চকে হল লেখা
জিতলে তুমি;
অভিমানে জড়িয়ে ছিলাম আমি ।  


{গোটা শব্দ – ভালবাসার কথা নাকি অর্দ্ধস্ফুট ।}  


বিঃ দ্রঃ - এই আসরে আজকাল সুন্দর সুন্দুর প্রেমের কবিতা পড়ছি। ঐ সব লেখার প্রেক্ষিতে ভীষণ ইচ্ছে হল মান-অভিমানের একটা গল্প বলি।