হিমেল হাওয়া শীত সকাল
আবছা আলো            
জড়িয়ে চাদর মাথা ও বুক
শরীর চায় এটুকু সুখ…
তরতাজা ফুল ভেজা কুয়াশায়,  
গন্ধ ছড়ায় শিউলিতলায় ;


এই তো সময় -
যতনভরে ঠাকুরঘরে আনলেই হয় ।  


শোর দিয়ে গোল কাড়াকাড়ি
শিউলি যাবে কার বাড়ি
সমাধিতে শহীদ বেদী
ভ্যাপসা কাব্যে জয়ের গাথা ।


কাটলো সময় বাড়লে বেলা  
উঠলো মেতে তাপের খেলা  
ঝরা শিউলি; খাজা রোদে
গাড়ীর ছাদে শুকনো ন্যাতা ।


জাদুর বশ কলুর বলদ
ঘানির ধ্বনি রসিক সরোদ ;  
জুটবে রসদ, তাল মেলালে
হাম্বা রবে -‘আমার’ কথা ।  


আন্‌ ডেকে আন্‌ মঙ্গলাকে  
কাঁসর ঘণ্টা ঢোল বাজিয়ে
শান্ত নিবিড় শিথিল ছায়া
রঙ্গিন নেশায় ঝিমিয়ে যারা ।  
হাল্কা আঙুল ঠেকিয়ে তায় কোঁচড় ভরে ;
মোহনরূপ উঠুক সেজে ঠাকুর ঘরে ।  


ধুপধুনো ছড়িয়ে আতর,
মায়াজাল ধোঁয়ায় বাসর -    
তর্জা বেঁধে গাইবে বাউল উচ্চগ্রামে      
কাঁপিয়ে তার – ঠমক ঢঙে, একতারা ;      


সারা জীবন সাজিয়ে হোক
জাঁকজমকের ভ্যানতারা ।  


টুং টাং বোল -
দূরের সেতার, অনুরণন ;
পাল্লা দিয়ে ছররা রেশ আজীবন ।
বেতালে নাড়ী কাঁপন, বেঁচে মরণ ।  


শিউলি ঝরা বেহাল শরৎ কতদিন?