পর্ব - ১


বাহিরে শব্দ কয়েকজনের
ডাব ওয়ালা হাঁকে – ডাব চাই ।
ডিম ওয়ালা এসে বেলটা বাজিয়ে
ঘুমটা ভাঙাল দূর্‌ ছাই ।
আড়মোড়া ভেঙে অনেক কষ্টে
বিছানা ছাড়তে হল ।
তুমি নেই ব’লে কাজের মাসীটা
অকারণে ডুব দিল ।


সব কটা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
আছে পরিধান বস্ত্র
আজি এ সময় দেখে লাগে ভয়
সাজাতে হইবে ত্রস্ত ।
পেটে মারে ডন কয়েকটা ছূঁচো -
দরওয়াজা খুলি কিচেনের ,
ভয় কেন মিছে
আছে মোর ফ্রিজে
ডিম কলা কেনা কদিনের ।


ব্রেক্‌-ফাস্ট সেরে
চুলে তেড়ি কেটে
থলেখানা নিয়ে হাতে -
মাছে পাঁচ টাকা ,
তেলে দশ টাকা
বাকি আলু পটলেতে ।
জ্বলছে বাজার মনটা ব্যাজার
সঞ্চিত ধন খালি
কন্ট্রোলে শখ, অযোধ্যা পাহাড়
কাশ্মীরে গোলাগুলি ।


কেটেছে সময় তিরিশ বছর
হয়েছে বদল রাজা ও রাজ্য
ক্লাবের কোণে ছোট মশগুল
অতি অমায়িক গলা ;
শুরু হোক সাথী, নতুন ভাবনা
আগামী দিনের স্বপ্ন রচনা -
মালিক শ্রমিক হোক একাকার
একসাথে পথ চলা ।
কাশী ঘোষের উদ্ধত স্বর
মালিক-সরকার এরা সহোদর
উৎকোচে যৌতুকে -  
আশা নিরাশার ভোজ সমারোহ
বাড়ী ফিরে কাজ ভীষণ দুরূহ ;
থলে চুঁয়ে পড়ে মাছের রক্ত
নিদারুণ কৌতুকে ।


থলেখানি রেখে খাওয়ার টেবিলে
ভাত বসাবার তরে -
হাঁড়ি ও ডেকচি
নাহি মিলে কিছু
সবই বেসিনের পরে ।
পায়চারি করে ভাবিতেছি মনে
কোনটা করিব আগে -
কাপড় ভেজাবো, হিটার জ্বালাবো
তরকারি কুটি ভাগে ।


জামাপ্যান্ট ছেড়ে পাজামা গলিয়ে
বুদ্ধিতে দি ধোঁয়া
বিনা সাধুবাদে অসাধ্য সাধন
এ কোন পাগল হিয়া ।


ফটাফট করে অতি মনোযোগে
জানলা-দরজা খুলি ,
বুকের ওপর জড়িয়ে টাওয়েল
বাহিরে এলাম চলি ।
চোখ গেল যবে শোভা করা টবে -
তোমারই স্নেহের গাছে ;
প্রতি ভোরবেলা
এক মগ জল দেবে গাছে
মনে আছে ।


শক্ত নলেতে সরকারী জল
বাঁধনটা বেশ পাকা
টগবগে গাছ ভিন্ন মেজাজ
মাটি জলে বেঁচে থাকা ।