পাথর বেয়ে ঝিরি ঝিরি ধারা ;
জড়িয়ে আছে সারি বেঁধে পাহাড়ি ফুল, লতা ।  
থিক-থিকে শ্যাওলা জমা মনের অলি গলি -  
বুদ-বুদি জলে ভাসে মন্দমতি চাঁদ ;    
এই জলায় মৎস্যকন্যা,  
আমার ভালবাসা ।  


নিম-ফুলে মাখামাখি বীর্য মাতাল গন্ধ,
ঝিমোচ্ছে কাক গুটিসুটি পায়ে ;  
আসন পেতে খোলা দরজায়
কাঁঠাল পাতার ছায়া দোলা
আধ-খামচা রোদ ।    
ঠাস বাঁধা রজনীগন্ধা কুঁড়ি,  
বিবশ চোখের পাতায় একটু ফাঁক ;  
সেই সন্ধ্যায়, এলে তুমি ফিরে -    
আমার প্রিয়ে ।


শ্বেতপাথরে ফলক চবুতর,  
চমক ভরা ভাঙা বিকেল -
ধূসর সাদা, ঘুঘু পাখির বাসা ।
বিদগ্ধা লাল শেষ রশ্মি
লজ্জা ঢেকে পাপড়ি ডালিয়াতে,  
চটকানো যৌবন -  
বোতাম টিপে ছন্দ বোলে
বুলবুল তারা ।


গভীর সাদা অন্ধকারের স্তূপ -
ঘুম আসেনি মন খারাপের অকাল -
করাত কাটা গাছ ;
ঢেউ বাতাসে উঁচু শিরে বেহাল,  
ধিকিধিকি তবু দূরের দীপ !  
সেদিন তুমি শিথিল সৌমী একা ।