নিখুঁত হাতে তৈরী হচ্ছিলেন 'মা'- দূর্গা
একটু একটু করে,
শিল্পী , ইচ্ছে-বাসনার স্রোত গাঁথছিলেন
মাটির স্তরে -স্তরে।
বদ্ধ -ইচ্ছেগুলো ডানা মিলছিলো
আলো উদ্ভাসিত রূপ -জীবন নিয়ে খেলছিলো ,
'মা'- উঠছিলেন , সজীব হয়ে
রক্তের স্রোত ছুটছিল ধমনী বয়ে।
'মা'-এর সৃষ্টিতে আজ মগ্ন শিল্পী দিন- রাত্রি -
" সুস্থ বাতাস , একটু ভালো থাকা ,
নিশ্চিন্তে ঘুম , স্বপ্ন -গুলো রাখা-
দু- বেলা পর্যাপ্ত আহার , আর -একটু জায়গা , ভালো থাকার "
এবার এসেছে সময় পৃথিবীর- প্রাপ্তি ,-
'মা'- পেয়ে গিয়েছিলেন " অল্প সকল চাওয়া " শিল্পীর হাতে -হাতে
মাটি থেকে জীবন্ত হচ্ছিলেন  -'মা' - তাঁর সাথে সাথে।
আমি পড়েছি , সকল কথা--
'মা' - র চোখে আমি দেখেছি  সে ব্যথা।
আগুন- রূপে- 'মা ', সমস্ত পৃথিবী ধরে-
দশ হাত ছড়িয়ে তুলছেন মাতৃ-কোরে,
হাসি পড়ছিলো ঝরে, পৃথিবীর প্রত্যেক কোনে -কোনে ,
পুলক লেগেছিলো রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ছেলেরও মনে।
তাই প্রণাম করেছিলাম এমনই অক্ষেআলে--
জীবন্ত 'মা'- কে দেখেছিলাম প্রথম সকালে।।