আমি অবিদ্যার শৃঙ্খলে থাকবো নাকো বদ্ধ
সাগর মন্থন করে আনবো তুলে মুক্তো
আমিত্বের গ্রন্থি দিয়ে তুমি যতই বাঁধ আমাকে
বিদ্যার কুঠারাঘাতে ভাঙবো আমি সেই শৃঙ্খলকে
যে বিদ্যার প্রদীপ জ্বেলে অন্তর হয় আলো
সেই আলোকে পুঁজি করে দূর করবো অন্ধকার আছে যত
অবিদ্যার বন্ধন দেহ মনে যা কিছু পাবো
বিদ্যা অস্ত্রে ছিন্ন করে তবেই ক্ষান্ত হব
জ্ঞানসূর্যের আলো এনে দূর করবো পৃথিবীর আছে যত অন্ধকার
আজ এখন সেই আলোয় শপথ নিয়ে করছি এই অঙ্গীকার
অজ্ঞান কারাগারে বদ্ধ আছে জন্ম মৃত্যুর ভাগ্য
জ্ঞান অস্ত্রে উদ্ধার করবো ভাগ্যের সেই মূলমন্ত্র
জ্ঞানমন্ত্রে জগৎ হবে ভীত
সেখান থেকে আনবো ধরে শুদ্ধসত্ত্বের চিত্ত
যে চিত্তের আলোয় জগৎ আছে সচল
তাকে পেতে সকল কিছু ত্যাগে  থাকবো আমি অবিচল
মায়ার অন্ধকারে জ্ঞানসূর্য ঢাকা থাকে
বিদ্যার আলোয় কাটবো আমি সেই অন্ধকারকে
মায়ার শিকল পরিয়ে রেখেছো দেহ মনে
তাইতো বিদ্যার আলো প্রবেশ করে না আমার অন্তরে
তোমার কথায় ভালোবেসে এসেছি এই ধরণীতে
সকল অন্ধকার দূর করে তবেই ফিরবো আমি ঘরে
কী কথা হয়েছিল তোমার সঙ্গে জানা নেই আমার
সকল দুঃখ দূর করে তুমি ঘুচাও আমার সব অন্ধকার
বিদ্যাবলে হতে পারি যেন বলিয়ান
এই আশীর্বাদ করে রচনা করো জীবের বিধির বিধান।



সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা