(দেবরাজের প্রতি উর্বশী : একটি যৌথ প্রয়াস )


(অতীত : দেবব্রত সান্যাল )


তোমার পরিচয় সর্বজন বিদিত,
হে বৃত্রাসুরজয়ী , পুরন্দর ।


আর আমার পরিচয় ?
তোমাদের রাজসভায় এক নৃত্যাঙ্গনা ,
তোমাদের  মনোরঞ্জনের জন্য চির যৌবনের শৃঙ্খলাবদ্ধ ?
তোমার ইন্দ্রত্ব রক্ষাকারী কামবান , আরেক স্বর্গবেশ্যা ?
না কি. তোমাদের সোমরসের অনুপান, এক অবদংশ ?


(বর্তমান : রেনেসাঁ সাহা)


কেউ জানে না, আমি  এখনও নৃত্য পরিবেশন করছি কত সহস্র ইন্দ্রের সভায় মর্তলোকে।


আমার শরীরের ভাঁজে খেলা হলুদবসন দেখে প্রশংসা করে মর্তের  দেবতারা।
ভাবেন আমাকে  হয়ত বা রেপ করে দেবার মত  সুন্দর দেখাচ্ছে।
বা হয়ত, আমার  রেপ হবারও অধিকার নেই, থাকে না আমাদের  অধিকার।
এন্টারটেইনমেন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, -
এই তিনটি মন্ত্র  নিয়ে জীবন।
তবে নিজের মন  নেই ,  তাই মনোরঞ্জন ও নেই।
তবে শরীর আছে, থাকতেই হবে।
নইলে পুরুষের মনোরঞ্জনটা করব কি দিয়ে ?
তাই নিয়ে শ্লোক লেখেন ব্যসদেব, আমার  নাচ দেখেন ঈন্দ্র।
ব্যসদেবও অমর , ইন্দ্র ও সমুদ্র মন্থনে সমস্ত অমৃত পান করেছেন।


নাচ শেষে,  পড়ে থাকি সোনাগাছির এক কোণায়
এক গাছি নকল সোনা হয়ে।
আশায়, কেউ যদি আবার তুলে নিয়ে যায়।
মদ ও চাট সহযোগে কেউ যদি আবার ....
পুরুষ সমাজ যদি জাবর কাটে, একবেলার খাবার যদি জোটে।