আলমারি , খাট. বিছানা , ড্রেসিং টেবিলের সাথে দান করা হলো ,
তিন হাজার টাকার বেনারসী আর আট ভরি গয়না পরা
বি.এ পাস  অপর্নাকে ।
তেরোটা প্রনামী আর চল্লিশজন  বরযাত্রী - বেশী কিছু নয়।
সারা জীবন হাত পাততে অভ্যস্ত বাবা
আজ জলজ্যান্ত একটা কন্যাকে দান করতে পেরে বিশেষ গর্বিত ,
নিশ্চিন্ত ও বটে - কন্যাদায় বলে কথা ।
তবে চোখের কোনার জল , ধুয়োর জন্য না
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় হাত পড়ে যাবার দু:খে ,
বলা কঠিন।
অপর্ণার মুখের চন্দনের কারুকার্য
ফিকে হবার আগেই জানা গেল ,
খাটটা বক্স হলে ভালো হত,
গয়নার ডিজাইন গুলো কেমন পুরনো পুরনো
প্রনামীগুলো মোটেই দামী নয় ,
বরভোজনের মাছটা তেমন টাটকা ছিল না ,
আর মেয়ের রঙটাও বেশ চাপা।
কি আর করা - ছেলে যে ব্যাঙ্কের কেরাণী।


আজ দশ বছর পর , অপর্ণার যত্নে
আসবাব , বাসন , শাড়ী এখনো নতুনের মত।
আর রক্তাল্পতার দরুন অপর্নাকে একটু ফরসাই দেখায়।  
অপর্ণার দাতা কর্ণ পিতা এখন পাত্র পক্ষ হয়ে
এক শাঁসালো দাতার সন্ধানে আছেন
ছেলে ইঞ্জিনিয়ার , তাই দানটাও সেই মাপেরই হবে ,
সেটাই তো স্বাভাবিক |