দিদি ভালো আছিস?
আমায় ভুলে গেছিস?
জানি, আমি তোকে,
অনেক জ্বালিয়েছি!
কিন্তু কোনোদিন
বকিসনি আমায়।
মেয়ে বলে বাড়ির অনেকে
পাত্তাই দিতনা তোকে।
মনে হতো তুই যেন
অনাগত কেউ।
তোর হাথ ধরে,
বাজারে গিয়ে যেদিন,
আমার বড় রাখিটা
পছন্দ হয়েছিলো,
আবদার করেছিলাম
তোর কাছেই!
না জানিয়ে বাজার করার টাকা থেকে,
ওই দামী রাখী টা কিনে দিয়েছিলি।
বাড়ীতে ধরা পড়তে,
একবারও আমার আবদার করার কথা
তুই জানাসনি।
উল্টে মার খেয়েছিস!!
আমাকে বাঁচাতে বারবার
বাবার কাছে কথা শুনেছিস!
মার খেয়েছিস!
তুই একটা জায়গায় কাজ করতিস,
রোজ রাতে স্টেশনে
তোর আসার অপেক্ষায় থাকতাম।
আজকের দিনে আমার হাতে
তুই রাখী বাঁধতিস!!
মন্দিরে আমার নামে,
পুজো দেওয়া ফুল
আমার মাথায় দিতিস।
আমি তোকে রাগালেও,
তুই একটুও রাগতিসনা।
সবসময় হাসিমুখ।
মাকে দেখিনি কিন্তু তোর মধ্যেই
তাকে পেয়েছি বারবার।
সংসারের দায়িত্ব নিয়ে
কখনও নিজের কথাই ভাবিসনি!
তুই বারবার কোন এক বন্ধনে,
এই সংসার টাকে আগলে রেখছিলি!!
কত ঝঞ্ঝা থেকে আগলেছিলি।
সত্যি বলতে দিদি, রাখীবন্ধনের
মান আমি রাখতে পারিনি।
আজকের দিনে তোকে
বাঁচাতে পারিনিরে দিদি।
কিন্তু তোর কেনা আগাম রাখীটা
তাকে গুছিয়ে রাখা ছিল।
আর তোর নিথর দেহটা সাদা বিছানায়।
একরাশ হাসি আর চোখে জল নিয়ে!!!
ভালো থাকিসরে দিদি!