মৃত্যুই পারে একমাত্র কৃত্রিম
মানুষের মধ্য দিয়ে অকৃত্রিম
চেতনার প্রকাশ করাতে।
যেখানে থাকেনা মিথ্যার ছোয়া
হয় সত্যের প্রকাশ সূর্যালোকের
মত। ক্ষণিকে ক্ষণিকে  আমরা
বিভ্রান্ত হই, অচেতন মনে
প্রকৃতিকে করি অবিশ্বাস। ব্যক্তি
ভাবনা আমাদেরকে বিপথে
চালিত করে। অচেতন মনে
চলতে থাকি অন্ধের মত নিয়ে
দীর্ঘ শ্বাস। আর চেতন ফেরে
আঘাতে আঘাতে হৃদয় রক্তাক্ত
হলে,ব্যথার জ্বালায় জ্বলে পুড়ে।
প্রথম জন্ম, শেষ মৃত্যু, যদি না
হতাম মাঝের পথের ভৃত্য, তবেই
মানব জনম সার্থক হতো- হতো
ধন্য চেতন চিত্ত। আমাদের চেতন
ফেরে শেষের দিনে যখন ভাসে
অঙ্গ সকল ঋণে। যদি ভাবতে
পারতাম এই ভাবনা যৌবনের
শুরুতে, জীবনটাই অন্যরকম
হতো আজকের ভাবনার মতে।
যে কালচার যে কৃষ্টি অন্তর দখল
করে নিল সেখান থেকে বেরিয়ে
আসে বড় কঠিন মনে হলো।
মৃত্যু দিয়েই শেষ হবে সব পরম
সত্য এটা; আমরা কাহারও
কেহ নই বুঝি নই বাপের বেটা।
ব্যক্তি স্বার্থ পড়ায় হাতে-পায়ে
কঠিন বেড়ি, হয় অন্ধ চোখের
দৃষ্টি; কেমনে চিনব এই প্রকৃতিকে
এবং তাঁহার সৃষ্টি। তাইতো বলি
ভবিষ্যৎকে চলো সন্মুখে জাগ্রত
বিবেকের নির্দেশে; ভবিষ্যতে যেন
দংশন না করে সেই অচেতনের
আশীবিষে। অচেতনের দাপট
বেশি শুধুই ক্ষণিক তরে;
চেতনাকে খুঁজে পাবে খুঁজলে
তোমার অন্তরে। সার্বিক ভাবনায়
আনন্দ বেশি ব্যক্তি ভাবনা ছেড়ে;
মৃত্যু ভয়ও জয় করা যায়
মনোবল যায় বেড়ে।


১৬ই অগ্রহায়ণ,১৪৩৯,
ইং ০৩/১২/২০২৩,
রবিবার বেলা ০১:২৫। ২২০৭, ১৯/২৬১, ০৪/১২/২০২৩।