কবি ও কবিতা সমাজ বদলের হাতিয়ার।
সাথে প্রশ্ন আসে ভালো আর মন্দের চেতনা
নির্ভর। শব্দ তাল লয় যদিও সব ঠিক হয়
বিষয় যদি উগ্রতায় শেষ হয়, তেমন মনের
মানুষের অভাব পাঠক রূপে পাওয়া তাহাও
একটা ভয়। যদি বলি কবি হবে সনাতন বিশ্বাসী
প্রকৃতি নির্ভর, মনুষ্যত্ব ও মানবতার কঠিন
বোঝা মাথায় লয়ে পার হবে পারাপার। সাথে
সাথে পড়ে নিলাম কবি মলয় রায়চৌধুরীর
আমি তো লো কালচার তাং ১৪/০৯/২০২২।
আবার দেখেছি ধর্মীয় বিরূপ মন্তব্য মনে হলে
মিথ্যাকে সাক্ষ্য করে নানান কথা তারা বলে।
তাঁরা মোডারেটর এমন কি এডমিন ও হতে পারে।
সৃষ্টির সেই আদিম হতে চেতনার ধীরে ধীরে
পরিবর্তন ঘটেছে বটে। আমার বিশ্বাস চেতনায়
পারিবারিক প্রভাব, সামাজিক প্রভাবকে অস্বীকার
করা বড়ই কঠিন। কবির নিরপেক্ষতা চেতনার
শীর্ষে না পৌঁছালে মানবতা ধর্মী মনুষ্যত্বের জয়গান
কবিতায় তুলে ধরা বোধ হয় অসম্ভব। আমরা কি
বিশ্বাস করতে পেরেছি জগতের নানান ধর্ম ব্যক্তি
মানুষের মতবাদ? তাই বলতে ইচ্ছা হয় সকল ধর্মে
ব্যক্তি প্রভাব মুক্ত নয় যেটা মনুষ্যত্বের জন্য, মানবতার
জন্য, ভীষণ ভয়। মানুষে মানুষে বিভেদ হিংসা দ্বেষ
সত্যিই কি এমনি এমনি হয়? তাই বলি ধর্ম নয়, গোষ্ঠী
নয়, বর্ণ নয়, সবার উপরে উঠে যিনি মানবতার ধর্ম বয়,
তিনিই তাঁর লেখনীতে সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান তুলে
ধরতে পারেন নিরপেক্ষভাবে। তাই বলি কবি লেখক
প্রথমতঃ হতে হবে একজন প্রকৃত শিক্ষক। একটা মানুষ
খুব বেশি সময় পায় না তার পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে।
তার লেখনি পড়ে থাকে ভবিষ্যৎ পাঠকদের কাছে
চেতনার আলো পৌঁছে দেবার তাগিদে। কাঁথির
সভায় শুধুই সভাপতিত্ব করে অসুস্থ মানুষটি দায়
সেরেছি। অনেক গভীর আলোচনার অনেক কিছুই
ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে শুধুই কবিতা পাঠেই
বেশিরভাগ সময়টা পেরিয়ে গেল।


সর্বপরি বলি কবি বন্ধুরা হোক নির্ঝরের জল, সতত
করবে টলমল। স্বচ্ছ আয়নার মধ্যে খুঁজে পাবে
পাঠকরা নিজেদের চেতনা, সমাজ পরিবর্তনের
রসদ। আকুল হয়ে সেই দিনটার অপেক্ষায় থাকবো
আমরা। সশরীরে হয়তো থাকবো না;
থাকতে তো নিষেধ নয় পাঠকের চিত্ত চেতনায়।


প্রিয় কবি বন্ধুদের এবং পাঠকদের প্রতি রইল
প্রাণভরা শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।


২৯ শে  ভাদ্র, ১৪২৯,
ইং ১৫/০৯/২০২২,
বৃহস্পতিবার বেলা১১:২৪। ১৭৯৮, ১৭/০৯/২০২২।