যে জন ভজিবে হেথা জ্ঞান-বিজ্ঞান
কে করিবে ক্ষতিতার আছে কোন জন?
ওই সৃষ্টির আদি যদি সে কথাই কয়
মানুষের চোখে তাই দেখি এত বিস্ময়।


দর্শনের স্রষ্টা কণাদ ভেবেছিলেন তাই
ক্ষুদ্র হতে বৃহতের সৃষ্টি জানো কি সবাই?
মৌল সৃষ্টি অনু থেকে সে কথাটা জানো
পরমাণুর প্রাণ তবে গানে গানে শোনো।


ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন এরা সবে মিলে
পরমাণুর জীবন দিল ওই ওরা তার দিলে।
সৃষ্টি ধ্বংস মহাপ্রলয় সকলি ঘটায় যে তারা
অবাক হয়ে শুধু দেখি আমরা মানুষ যারা।


অন্ধ ভাবে এই জগতে সবাই বুঝি অন্ধ
ঘ্রান ইন্দ্রিয় নষ্ট হলে পায় না কেহ গন্ধ।
বিজ্ঞানীরা অংক দিয়ে ছন্দ খোঁজে
সৃষ্টি তথ্যের সেই  হিসাব কজন বোঝে?


গর্বের মানুষ সত্যেন বোস তাই করেছে
অংক দিয়ে আলোর গতি ওই মেপেছে।
ফলে আলোর গতি পেল মতি এই জগতে
ছুটছে তাহা আদির খোঁজে দিনে রাতে।


নানান জনে নানান মতে আনছে ধরে
চলার দিশা নানান ভাবে আপন করে।
হকিং জ্ঞানের দ্বারা অন্ধগুহার পেল খোঁজ
তাঁর ভাবনা কত তথ্য বিজ্ঞানীদের দিচ্ছে রোজ।


দেহে অচল জ্ঞানে সচল রাত-দিন ভেবে যেত
বলো এমন সাধনা এই মানুষ কোথায় পেতো?
এমনি করে খুঁজতে গিয়ে অজানাকে অন্ধকারে
আলোর দিশা মিললো হেতা খানিক পরে।


জেমস ওয়েব দূরবীন চলল ছুটে ওই মহাকাশে
অজানা সেই আদির খোঁজে বিশ্বজগৎ ভালোবেসে।
পেল খুঁজে আনলো তুলে ১৩১০ কোটি বছর আগের ছবি
আর ৬০ কোটি বছর যেতে পারলেই খুঁজে পাবে সৃষ্টির আদি।


অন্ধ পাবে চোখের দৃষ্টি বিজ্ঞানের ওই আলোর কাছে।
মিথ্যা দিয়ে পারবে না আর রাখতে ঢেকে সত্যটাকে।
ধর্মীয় সব মতান্তর এবার মিলিয়ে যাবে মাটির ধুলায়
শুভ অশুভকে সরিয়ে দেবে ভাঙ্গা কুলার ওই হাওয়ায়।


১লা শ্রাবণ,  ১৪২৯,
ইং ১৮/০৭/২০২২
সোমবার রাত ৯:৪৪। ১৭৪৫, ২০/০৭/২০২২।