অর্থ লালসার নগ্ন পরিণতি,
ঐ সেই হিরোশিমা!
বর্বর সাম্রাজ্যবাদী নায়ক ট্রুম্যানকে-
ইতিহাস করে নাই ক্ষমা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে ঘটনা –
ঘটেছিল ঐখানে;
আজও মানুষ তার, ধিক্কার জানায়,
বক্ষ ভাসায় অশ্রুবানে।
হাজার হাজার মানুষের প্রাণ,
ধ্বংস করিল ওরা;
বিশ্ব জুড়িয়া হিংসার অনল,
ছড়ায়েছে আজ যারা।
শান্ত পৃথিবী, অশান্ত করিতে,
ঐ বর্বর কসাইয়ের দল;
কিছু দেশ,কিছু মানুষ,কাছে টেনেছে,
শয়তানরা করিয়া ছল।
মানুষ কি আজও বুঝিবেনা?
ওদের কর্ম কান্ড;
মূহুর্তের মাঝে শান্ত হিরোশিমা,
যারা করিল লন্ডভন্ড!
দেখিল তো তারা, একটা ছোট্ট বোমা,
কেমন শক্তি ধরে;
কেমন করে-তিনদিন পরে নাগাসাকির বুকে,
সেই অস্ত্র মারে?
মনুষ্য-বোধ ছিল না ওদের,
ওরা ছিল ভূঁইফোর;
মায়ের সন্তান পারিত কি কভু,
করিতে এমন জোর?
ওদের ঐ বর্বর কাজের প্রায়শ্চিত্ত করিছে,
জাপানের কত লোক;
বন্ধু জাগিয়া ওঠো শান্তির লাগি,
ঐ বর্বর নায়করা ধ্বংস হউক।
এত কান্ডের পরেও, ঐ দেশ,
শেখে নাই তো কিছু;
পূর্বসুরীর পথ ধরে, উত্তরসুরীরা,
চলিতেছে পিছু পিছু।
অর্থ ও শক্তির জোরে, বিশ্ব আজিকে,
বিস্ময়ে হতবাক;
তা-নাহলে, ওরা কি পারিত? দখল করিতে,
ভিয়েতনাম, ইরাক?
বন্ধু আজ সময় এসেছে বিশ্বে,
ইতিহাস বুঝিবার;
সাম্রাজ্যবাদীরা পারে নাই কভু-
ধরায় শান্তি আনিবার।
ওরা তো শুধুই হেথায় ধ্বংস আনিছে,
সৃষ্টি তো আনেনি কভু;
কি দায়- মোদের? বাঁচায়ে রাখিতে,
এই বিধ্বংসী শক্তি তবু।
চল বন্ধু দামামা বাজাও,
ধ্বংস করিতে ওদের বাজি;
ঐ শক্তির সাথে পাঞ্জা লড়িতে,
সংঘ-বদ্ধ আমরা আজি।
এই সুন্দর পৃথিবীকে দেবো না,
আর হিরোশিমা হতে;
প্রাণের তরে প্রাণ দিয়ে মোরা,
শান্তি রাখিব তাতে।
হেথায় ধ্বংসের লাগি আর কোনদিন,
উঠিবেনা হাহাকার;
এই বিশ্ব আর তার মানুষকে বাঁচাতে,
আমরা নিয়েছি ভার।
২২শে শ্রাবন, ১৪০০সাল,