শস্য শ্যামলা ভারতবর্ষের মাটিতে
ছিলনা হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খৃষ্টান
ছিল সনাতন বিশ্বাসী মানুষের ঠাঁই
আদিতে গেলে আমরা তাহাই পাই।


কাল ক্রমে সাধকের মতবাদ ধরে
ক্ষমতার লোভে এলো ওই ধর্মমত
সেই স্বার্থান্বেষীরা নিজেদের স্বার্থে
হেথায় পেয়ে গেল ক্ষমতার স্বাদ।


এসেছে হিংসা এসেছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব
ক্ষমতার লোভে অনুপ্রবেশকারীদের মাথায়
আপনকে পর করে দিয়েছে তারা
টিকে থাকতে এই দেশে শোষণের আশায়।


হেথায় শান্তির ধারা অশান্ত হলো
ধর্মগুরু ধর্মযাজক মৌলবিদের ভীড়ে;
আমরা মানুষ আজ কোথায় দাঁড়ায়ে
তোমরা বলো তো কোন শান্তির নীড়ে?


বিভেদের শেষে ওরা চলে গেল দেশে
ক্ষমতার বিষ মন্ত্র আমরা শিখে নিলাম;
অমানবিক আচরণ আর বিদেশি অপসংস্কৃতি
ব্যক্তি স্বার্থে সেই শিক্ষা আমরা পেলাম ।


জগত জুড়ে দেশে  দেশে শাসকে শাসকে
দেখো চক্ষু মেলে চলছে অস্ত্রের হানাহানি;
গোপনে ওরা একে অপরের অন্তর আত্মা
নির্দোষ জনগণকে যূপকাষ্টে আনছে টানি।


যেমন আমেরিকা চীন ক্ষমতার স্বার্থে
ওই পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কাকে দিয়েছে বলি
কোন পাপে পাপী ওই দেশের জনগণ
দেউলিয়ার নামে ধ্বংসের পথে গেছে চলি।


কোন দোষে ওরা আজ থাকে অভুক্ত তাঁরা
আমরা ওদের পড়শি পারিনা এড়াতে দায়;
ওরা যে আজ অভুক্ত আমাদেরই ভাই বোন
তাঁদের দুঃখ তাঁদের কষ্ট আসবে না চেতনায়?


এখানে ওখানে মানুষ ধর্মের নামে জিগির তোলে
তবে সংকটে দুঃখীর পাশে দাঁড়াতে কেন সংশয়?
মানুষ তার মান-হুস ও মানবতা ফেলেছে হারায়ে
তাই জগতে মানুষকে মানুষ বলা সত্যিই বড় দায়।


৭ই ফাল্গুন, ১৪২৯,
ইং  ২০/০২/২০২৩,
সোমবার বেলা ১১:৩৩। ১৯২৬       ২২/০২/২০২৩