ভূতের মাসি ভূতের পিসি
ওই ভূতের ছড়াছড়ি;
দেখো একবার চোখ ফিরিয়ে
ভূত খাচ্ছে গড়াগড়ি।


পড়াশুনা না করে ভূত
পি এইচ ডি টা করে;
কি প্রয়োজন লেখাপড়ার?
থাকুক সার্টিফিকেটটা ঘরে।


টাকা আছে মন্ত্রিত্ব আছে
আছে ঘরে সঙ্গী;
অগাধ সম্পদ চারিদিকে
জুটবে কত রঙ্গী।


গরু পাচার, কয়ালা পাচার,
পাচার করে ভূত;
সেই ভূতের ভয়ে অস্ত্রধারী
হয়তো হবে সুত।


কিসের দুঃখ থাকবে ভূতের
কন্যার পিতা হয়ে;
কত ভূতপুত্ররা ছড়িয়ে আছে
অর্থের যোগান নিয়ে।


ভূতের গাড়ি ভূতের বাড়ি
আজ চারিদিকে দেখি;
কাম না করে বড় হওয়া
ভূতের কাছে শিখি।


চড় চড়াচড়, চড়াম চড়াম
ভূতের আওয়াজ শুনি;
শাসন শোষণ থাকনা দূরে
আজ ওরাই জ্ঞানীগুণী।


ভূতেরা সব ডিলিট পায়
পায় সাহিত্যে পুরস্কার;
কি প্রয়োজন আলোয় থেকে?
আঁধারে ভূতেরই দরকার।


এই আঁধার ঘেরা রাজত্বটায়
আলোর দিশা নাই;
সকল আলো নিভিয়ে দিয়ে
নেবো ভূতের ঠাঁই।


আমিও ভূত হয়ে যাব
যাবে কোথায় পিসি?
সুযোগ পেলেই ছড়িয়ে দেব
সুগন্ধি ওই হিশি।


বুঝবে পিসি আমরা আছি
তাহার চারিদিকে;
আলোর মধ্যে আঁধার এনে
করে দেবো ফিকে।


দেখবে না কেউ স্বচ্ছ ভাবে
আবছা আলোর ছায়ে;
যেমন খুশি করতে পারবে
ভূতেরা এই নায়ে।


ভূতের মৃত্যু হয় না জানি
বাঁচে জন্ম জন্মান্তর;
অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে বেড়ায়
জপে রামের মন্তর।

ভয় দেখিয়ে ভুতের রাজত্ব
চলছে কেমন তাই;
কেমনে মুক্তি পাবে মানুষ?
সেই কথাটাই ভাবাই?


১২ ই ভাদ্র, ১৪২৯,
ইং ২৯/০৮/২০২২,  
সোমবার বিকেল ৫:০৩। ১৭৯৩, ১২/০৯/২০২২।