সময়ের প্রেক্ষাপটে সাহিত্য রচনা,
কালের গতিতে হয়;
শৈশব, কৈশোর, যৌব্ন, জড়,
রয়েছে ধারাবাহিকতায়।
যে সাহিত্য রচিত হলো,
সেই আদিম যুগে,
মানুষের জন্মক্ষণে;
তুলনা হবেনা কি কভু?
তাদের সেই অবদানে,
এই মানুষের মনে।
মনে হয়েছে তখন, অপূর্ব কথন,
ক্রমে বিকশিত জ্ঞান-বুদ্ধি,
হয়েছে হৃদয় শুদ্ধি।
আদিম সাহিত্য শৈশব বলে জানি,
অতুলনীয় সেইদিন;
শোধিতে নিজের ঋণ-
বেদব্যাস, হোমার, কালিদাস-
বাজালো সুমধুর বীণ,
যাহা আজও তুলনাহীন।
সময়ের প্রেক্ষাপটে-
বঙ্কিম, ইশ্বর, মাইকেল, লালন,
লিখেছে মনের কথা,
প্রকাশিছে মানুষের সুখদুঃখের ব্যথা।
জীবনান্দ, রজনী, অতুল, দ্বীজেন,
ভালবেসেছিল প্রকৃতির সুর;
জড়া, মৃত্য্ ভ্য় করিতে দূর।
জীবনের প্রয়োজনে তুলিয়াছে ঢেউ,
করেনি তো কোন ভুল,
আমাদের সুকান্ত, নজরুল।
তারপরে কত লেখক, লেখিকা,
এসেছে নিয়ে ভাবনা চিন্তা;
প্রভাবিত কেউ অন্যের প্রভাবে,
তুলিছে ছন্দ তাধিন, ধিনতা।
মনের বিচ্ছুরন, সেই তো বিকিরণ,
ছড়ায়ে পরিছে চারিদিকে;
যদি ভাল লাগে, অন্তরে বাহিরে,
তবেই সাহিত্য বলে তাকে।
কালের গতিতে ছুটিছে সবাই,
সৃষ্টির সুর বাজিছে সদাই;
অন্তর বলে সময় তো নাই,
কিছু রেখে যেতে হবে তাই।
আবার বলি-
সময় তো আর নাই।।
১১ই চৈত্র, ১৪২৩,
ইং২৫/০৩/২০১৭,
শনিবার, সকাল ১০টা।