হে সন্ত্রাসবাদের সেনা-
তোমরাও তো মা-বাবার সন্তান,
জানতে চাওনা-
কেমনে হলে রক্তশোষা মস্তান?
যখন জন্মেছিলে ছোট্ট ছিলে,
অচেতন ছিল মা,
মৃত্যুনামের দোহাই দিয়ে,
মায়ের কোল শূন্য করে নিয়ে গেলো-
আত্মহিতে পূঁজির স্বার্থে উগ্রবাদী যম;
সন্তানহারা মায়ের কথা-
জানলো না তাঁর আত্মজা তা,
এ ও কি মহাভারতের মহাকাব্য থেকে কম?
এদেশ, ওদেশ, স্বদেশ থেকে এমনি ভাবে-
নিচ্ছেতুলে আপন কোলে, সন্ত্রাসবাদের ছা;
দিশাহারা দেশের শাসক-
কোন পথেতে বন্ধ করবে এমন যুদ্ধটা?
সমাজ ছাড়া গুপ্ত ঘাটি,
বারুদে যার তপ্ত মাটি।
বড় হোলি তাদের সাথে,
চলাফেরা গভীর রাতে।
আগুন নিয়ে খেলা করে,
সেই আগুন দিলি মায়ের ঘরে।
দুঃখটা তুই বুঝলিনারে,
যাকে তুই জ্বালিয়ে দিলি-
সে যে তোর গর্ভধারিনী মা।
যারা দিল এমন জীবন-
তাদের কাছে প্রশ্ন করবি না?
কোথায় - আমার মা?
আমার এই কথা কি পৌছে যাবে?
হৃদয় হারা- সেই ভাইয়ের কাছে;
মায়ের সন্তান কি- ফিরে পাবে মা?
সেই সুখের দিন কবে হবে?
হৃদয়হীন সেই ভাইয়ের হাতে-
কঠিনতম শাস্তি পাবে সন্ত্রাসবাদের ছা।