আদি-গুরুদের মনন ছিল যতোটা সুগভীর ততটাই সূক্ষ্ম।
তাদের পাণ্ডিত্য ছিল অগাধ।
তাদের কে চিত্রিত করার মতন কোন পথ আমাদের জানা নেই;
যা আমরা চিত্রিত করতে পারি সেটি হচ্ছে তাদের অবয়বমাত্র।
তারা এমনই সতর্ক ছিলেন যেন কেউ একজন,  
এইমাত্র বরফে ঢাকা নদী পেরিয়ে এসেছেন মাত্র।
শত্রুপক্ষের রাজ্যে আটকে পড়া এক নির্ভীক যোদ্ধা।
আবার অতিথির মতন মার্জিত।
গলতে থাকা বরফের মতন তরল।
খোদাইযোগ্য, একটুকরো কাঠখণ্ডের মতন।
উপত্যকার মতন ধারণক্ষম।
স্বচ্ছ, একগ্লাস জলের মতন।
তুমি কি ততোক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে পারো না
যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমার কাদা থিতিয়ে স্বচ্ছ পানির রূপ ধারণ করে?
তুমি কি ততোক্ষণ পর্যন্ত অবিচল থাকতে পারো না
যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক ক্রিয়ার স্বতঃস্ফূর্ত আবির্ভাব না ঘটে?  
গুরু কখনও পূর্ণতা লাভের আশায় অপেক্ষারত থাকে না।
সচেষ্ট না হয়ে আবার আশাবিহীন হয়ে,
তিনি সবার হয়ে সবসময় উপস্থিত থাকেন
এবং সবকিছুকেই স্বাদরে সম্ভাষণ জানান।