কেন আমি কবিতা লিখি?
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “লেখা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে যে সব ভাব আমি প্রকাশ করতে পারিনা, সেই সব ভাব প্রকাশ করার জন্যই আমি লিখি”
মানিক, মানিকই আর আমি স্রেফ একজন সাধারন শিল্পপ্রেমিক। শিল্পের নানান মাধ্যমে বিচরণ করে আমি বুঝতে পেরেছি, কেন পণ্ডিত এরিস্টটল কবিতাকে শিল্পের সর্বোচ্চ্য মাধ্যম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
তাই আমি সংক্ষেপে বলতে পারি কবিতা হচ্ছে এসথেটিক সেন্সের(সৌন্দর্য বিদ্যার) সর্বোৎকৃষ্ট প্রকাশ (যদিও ব্যাপারটা চূড়ান্ত ভাবে আপেক্ষিক)। আর মনে রাখতে হবে সবাই কিন্তু উদ্দীপ্ত শৈল্পিক কবি হয়ে বেড়ে উঠতে পারে না আর এটার একটা মূল কারণ হচ্ছে বিস্ময়হীনতার অভাব। কারণ যার মধ্যে বিস্মিত হওয়ার প্রবণতা অনুপস্থিত সে কিভাবে অনায়েশে হেঁটে যাবে জ্ঞানের মাধ্যমে লব্ধ মুক্তির পথে?
আমার কাছে কবিতা হচ্ছে মুক্তি, একধরণের অপার্থিব বিদ্রোহ আবার আত্মতৃপ্তিও বটে!
তাই কবিতা হচ্ছে আমার শেষ অস্ত্র যা দিয়ে আমি এমন কিছু করে ফেলতে পারি যা হয়তো মানুষকে অনন্তকাল ভাবাবে, কাঁদাবে অথবা প্রশান্তি দান করবে!
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে কবিতা লেখার সুখও কিন্তু নগদ সুখ- অর্থাৎ এই জগতে বাকি বলতে কিচ্ছুই নেই। তাই একজন কবি যতই দুঃখী হোক না কেন, একটি সফল কবিতার সমাপ্তির পরে সে আত্মতৃপ্তি নিংড়িয়ে আনতে শেখে অবর্ণনীয় শৈল্পিক দক্ষতায়। ফলশ্রুতিতে কবি হয়ে ওঠে মহিমান্বিত!
অতএব, সর্বশেষে বলা যায় কবিতা কবিকে মহৎ করে তুলতে বাধ্য!!