কথা ছিল!

কথা ছিল!
মর্তে লুকিয়ে
সাধন ভজন দ্রোহে
ভুলে গেলে সবই
সুখে বাঁচার তরে।
আর্তি ছিল যা,
তাও গেল নিভে
দূর বহু দূর
শুন্যের গহন জুড়ে।

তবে এখন কোন বিরহ?
পোড়ায়!
বৈদেহিক সব কিছুতে
প্রতিয়মান সয়ে;
জানি,
ছিলে না কখনো ভালো!
অভিনয়, অভিমান
মিলেমিশে সইপাতে।
====

চেনা মুখ

পিছন ফিরে তাকাতেই,  এ কোন চেনা মুখ? বিষন্ন! মনে প্রদাহ হানে। ভাবনায় ফিলে দেয়, এই পথে কেন যে, মনে দ্রোহ গড়ে। জানি সে তো, হারিয়ে বেঁচেছে। চোখের আঁড়ালে, বড়ই মায়া। পোড়ায় অহরহ, যত্রতত্র। কেন তবে এ যাতনা। নিশি দিন জলছবি ভাসে। আঁজলা ভরা জলে, জল চুঁইয়ে চুঁইয়ে শুন্য আঁজলা নিঃস্ব হয়ে হারানো জলে কাঁদে। কি এমন হারাল? ফুরিয়ে গেল নিমিত্তে। দহন বুকে এ কোন যাতনা আঁকে? পথের বাঁকে মিলিয়ে প্রাতে।
====

ভালো থাকার মানে খোঁজা

আকাশের রং বদলায়
যদি চেয়ে দেখ!
যাপিত কালের
টুং টাং ফেলে;
যদি একটু স্বস্তি খুঁজো
অনাবিল অপরাহ্নে
ভেবে নিও বদলেছ তুমিও
ঐ আকাশের মতো!

মেঘের মতো,
কান্না জমে শরীর থমথমিয়ে!
শুদ্ধ স্নানে বার বার
ফিরতে চেয়েছো
স্বচ্ছ মাধুর্য্য;
আবার সেই
একই বেনিয়া দর্পণে
ভালো থাকার মানে খোঁজা।
====

অমুলক বিশ্বাস

একদিন ঠিক বুঝবে,
যখন সবুজ ঘাসে মোড়ক ধরবে;

থলের পকেট হাতরিয়ে
মিলল সেই পুরোনো আনা পাই
সে না কি তোমার ভালোবাসা বদলাবে?
তাই গচ্ছিত থলের নিচ তলায়
বহু দিন পর মনে পরল!
ঐ পুরোনো সুটকেশ ঘাটাঘাটিতে।

আঙ্গুল চেপে,
হাতের তালুতে বেশ কয়েক বার যত্নসহকারে
চাপাচাপিতে কি বুঝে ফেলে দিলে দূরে
আগাছার ঝাড়ে; এ এক অন্ধ যাতনা
কেনই বা এত দিন?
যত্ন সহকারে গচ্ছিত ছিল
অমুলক বিশ্বাস।
======

তোমার বসন্ত ফেরারি আজ

রং তুলির ছোঁয়ায়
তোমার বসন্ত ফেরারি আজ
তবুও আসমানি রঙ মিশে
বিন্দু বিন্দু মিনার
সাজিয়েছে বেশ!
পরন্ত মেঘের ছায়ায়
যুবতি রৌদ্র করে খেলা।

ভেসে আসা মনিমানিক্য
জোয়ারের টানে; ভাটির জল সিঞ্চনে
অবরাহি হন্তারকের
কালো ছায়ায়!
এ কোন বসন্ত তোমার?
পুড়িয়েছে যাপিত কাল;
এখন শুধু শুধু
সবুজ আবিরে হলুদ জাফরানে
রঙতুলি মাখে।

২৩, ফাল্গুন/বসন্তকাল/১৪২৩